কুয়াকাটা সৈকতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত
জুয়েল ফরাজী,সত্যকন্ঠ; কুয়াকাটা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ সমুদ্রবেষ্টিত গ্রহ সংরক্ষণে পরিবর্তনের জোয়ার’।এদিনে একযোগে সারাবিশ্বে উদযাপিত হয় দিবসটি।
বিশ্ব সমুদ্র দিবসে কুয়াকাটা পৌরসভার হলরুমে আলোচনা সভা এবংর্্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশ’র ইকোফিস-২ প্রকল্পের আওতায় একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বৃহস্পতিবার ৮ জুন বেলা ১১ টায় টায়
আলোচনা সভা শেষে সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়। এবং ব্লু গার্ড ও সিপিপি সদস্যদের সজনেগাছের চারা উপহার দেয়া হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। নদীর সঙ্গে রয়েছে সমুদ্রের গভীর সম্পর্ক ও যোগসূত্র। সমুদ্রকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত রাখলে দেশের নদীগুলো বাঁচবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সমুদ্রতীরবর্তী একটি দেশ। এর রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বিশাল সমুদ্রসীমা। সমুদ্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা।
এসময় বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ডাবলু ,ওয়ার্ল্ড ফিস এর পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত ইকোফিস-২ প্রকল্পের সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি,ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)
ডিরেক্টর অর্গানাইজ আবুল হোসেন রাজু, ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম দেওয়ান,নুরু মাঝি, সিপিপির টিম লিডার সোলেমান বিশ্বাস,ইসাহাক হাওলাদার প্রমুখ।জাতিসংঘের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ১৯৯২-এ ব্রাজিলের রিও ডি
জেনেইরোয় প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে তাদের একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস। ২০০৮-এ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঠিক করে, ২০০৯-এর ৮ জুন দিনটি বিশ্ব সমুদ্র দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা।
দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। সাগর-মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো এসব সাগর আর মহাসাগর। সমুদ্রের এই অবদান,
আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারীতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস।এ সময় বক্তারা বলেন, নদীর দূষিত পানি ও কলকারখানার বর্জ সমুদ্রে গিয়ে মিলিত হচ্ছে। এতে সমুদ্রের পানি দূষিত
হচ্ছে। মানুষের ব্যবহ্নত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পদার্থ সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে সমুদ্রের পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। মারা যাচ্ছে সমুদ্রের নানা প্রজাতির সামুদ্রিক প্রানী ও জীব বৈচিত্র। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। তাই সমুদ্রের পানি দূষণ রোধে এবং সমুদ্রর জীববৈচিত্র রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।