কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে- কৃষি উপদেষ্টা
আলী আহসান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
১৬ অক্টোবর, ২০২৪
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতায় সময় এদেশের প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমান কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। দেশ বর্তমানে দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ইত্যাদির উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। তবে, আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে যদি আমরা বড় উদ্বেগের জায়গা, খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি। আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে উপদেষ্টা সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষত শাক-সবজি এবং ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ। উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয় বলে উপদেষ্টা জানান। উপদেষ্টা খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ( শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকার পরিচালক ড. মোঃ হারুনূর রশীদ। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেষে উপদেষ্টা বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, এবছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Right to foods for a better life and a better future’ অর্থাৎ ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’।
এই ক্যাটাগারীর আরো নিুজ পড়ুন-
টঙ্গীতে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যে TCB পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আজ (বুধবার) গাজীপুরের টঙ্গীতে জাবের এন্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স প্রাঙ্গণে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে TCB পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকরাও রক্ত দিয়েছে। রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার প্রথম সুবিধাভোগী হওয়া উচিত এই দেশের মেহনতী মানুষ। দেশের মেহনতী শ্রমিকদের কর্মের ফলে এত লুটপাটের পরও বাংলাদেশ টিকে আছে। তিনি বলেন, আমার একটা স্বপ্ন আছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের এক্সপোর্টে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা মেহনতী গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে চাই। তারা যেন কর্মজীবন শেষে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে জীবন অতিবাহিত করতে পারে। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। তবে সকল অংশীজনের সহযোগিতায় আমরা কাজটি করতে পারবো।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সম্প্রতি দেশে বন্যা পরিস্থিতি সরকার সফলতার সাথে বন্যার্তদের পাশে থেকে সঠিক সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে তাদের পুনর্বাসনের কাজ চলছে। ১৬ বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলের পুঞ্জিভূত দাবি আমাদের কাছে নিয়ে আসছেন। সকলের ন্যায্য দাবি পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, কিছু বহিরাগতদের চক্রান্তে আমাদের শ্রম সেক্টরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শ্রমিকপক্ষ এবং মালিকপক্ষকে নিয়ে ১৮ দফা যৌথ বিবৃতি ঘোষণার মাধ্যমে শ্রমিকদের অসন্তোষ নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছি। আজ সেই দাবির প্রেক্ষিতে আমরা স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ শুরু করেছি। টিসিবির পণ্য বিক্রয় কর্মসূচী পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টিসিবি-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা ইকবাল বিজিএমইএ-এর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
এই ক্যাটাগারীর আরো নিউজ পড়ুন-
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো, আজ (বুধবার) সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের সাথে তার অফিসে প্রথম সাক্ষাত করেন।
বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর টেকসই প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতি জোর দিয়ে বলেন, দুটি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হওয়ায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্প্রতি সীমান্তবর্তী রাজ্যে সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ৪০,০০০ এরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিকের অনুপ্রবেশের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর জোর দেন যা উভয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সংঘাতের কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলি স্বীকার করেছেন, ব্যাখ্যা করেছেন যে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসনের দিকে প্রচেষ্টা 2023 সালের নভেম্বরে আরাকান সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি ভাঙার কারণে বিলম্বিত হয়েছিল।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে মিয়ানমার সরকার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা শীঘ্রই সংকট মোকাবেলায় গঠনমূলক আলোচনায় নিযুক্ত হবে। তিনি মানব পাচার বৃদ্ধির মতো অস্থিতিশীল সীমান্ত পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা হোসেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে মিয়ানমার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার। তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগের অংশ হওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিডের জন্য মিয়ানমারের সমর্থন চেয়েছিলেন।
তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শক্তিশালীকরণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন। তারা দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে আলোচনার অধীনে উপকূলীয় শিপিং চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত U Kyaw Soe Moe মিয়ানমারের সৈন্যদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের প্রত্যাবাসন সহজতর করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের কৃতজ্ঞতা জানান া
এই ক্যাটাগারীর আরো নিুজ পড়ুন-
বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের বলেন, ‘একসময় জুট মিলগুলো সরকারিভাবে পরিচালিত হতো। এখন মিলগুলোকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। বর্তমান সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ চালুর পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া পাট থেকে তৈরি ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান আছে। পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা দেশে ও বিদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা পরিবেশবান্ধব কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছি। বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী পাটজাত পণ্য উৎপাদনে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কাজ করছে। গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে পাট ও টেক্সটাইল খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এটিকে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা দেশের পাটজাত খাতে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।’
বাংলাদেশ -কোরিয়া উভয় দেশের সম্পর্ক তুলে ধরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, বর্তমানে কোরিয়া থেকে ক্রুড অয়েল ট্যাংকার ক্রয় সংশ্লিষ্ট একটি প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আরো প্রকল্প চলমান আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের দেশের জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
বর্তমান সরকারের পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিন বন্ধ করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন,’পরিবেশ দূষণ বৈশ্বিক সমস্যা। প্রাকৃতিক তন্তু হিসাবে পাট পরিবেশ বান্ধব। বাংলাদেশের পাটখাত উন্নয়নে কোরিয়া সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক আরও জানান, ‘প্রায় দুই বছর আগে কোরিয়ান বিনিয়োগকারী একটি প্রতিনিধি দল এদেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা দেখতে পরিদর্শনে আসেন। তখন মাতারবাড়ী বন্দরও পরিদর্শন করেন। আগামীতে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ রাষ্ট্রদূত জাহাজ শিল্পে বাংলাদেশের উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।
আলাপকালে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ও শৃঙ্খলাসহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে আলোকপাত করলে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত বলেন, ‘ দেশে বিনিয়োগের জন্য বর্তমান সময় অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে নিরাপদ । বর্তমান সরকার দুর্নীতি, ঘুষ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিবেশও উন্নত হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন শাসন করেছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে পাচার করেছে। যা দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতি করেছে। বর্তমান সরকার দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়ে কাজ করছে।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তাসলিমা কানিজ নাহিদা, উপসচিব আসমা আরা বেগম,দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের কনসাল কিম জিয়ং কি উপস্থিত ছিলেন।