মোঃ বাবলু মিয়া, কোটচাঁদপুর,
ভিটেবাড়ি হারিয়ে কেউ কেউ সম্বলহীন সুদে কারবারিদের অত্যাচারে বেশ কয়েকজন আত্যহত্যা ও করেছেন। এমন অবস্তা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে।
গ্রাম্য সুদের মহাজনদের হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসন সম্প্রতি নড়েচড়ে বসেছে। ইতোমধ্যে ঝিনাইদহ সদর সহ অনান্য উপজেলায় বেশ কয়েকজন পুলিশের খাঁচায় বন্ধি হয়েছেন।
কিন্তু কোন তাপ লাগেনি কোটচাঁদপুর সুদে কারবারিদের গায়ে। বহুল তাবিয়াতে কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পৌর-এলাকা সহ উপজেলার সব ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে একাধিক সুদে কারবারি। যার ভিতরে রয়েছে
বাপ,ছেলে,চাচাতো ভাই,আপন তিন ভাই,স্বামী স্ত্রী সহ বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষ। সুদে কারবারি কে হালাল করতে লোক দেখানো কর্মসংস্থান খুলে বসে আছেন অনেকেই। কারো ফলের দোকান, মোদি দোকান,রিকশা ভ্যান ভাড়া দেওয়া,
জুয়েলারি দোকানসহ বিভিন্ন ছোট বড় কাজ করেন। আবার অনেকেই চকচকে শার্ট পরে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ান। কোন কর্মকাজ না করলেও বহুল- তাবিয়তে সে চলে তাদের সংসার বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন নামে বেনামে জমি এবং বাড়ি। এরা টাকার বিনিময়ে রাখেন
মটরসাইকেল,স্বর্ণের গহনা, চেক,স্টাম্প সহ সাদা কাগজে সই। তারা এলাকার প্রভাব শালী সুদে মহাজনদের টাকার শক্তি একটু বেশি থাকাই এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না। মুখ খুললেই বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ করা না শর্তে একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,৭০ হাজার টাকা নিয়েছি একজনের কাছ থেকে দুই মাস আগে প্রতিমাসের লাভংশ হিসেবে ৭ হাজার করে টাকা দিতে হয়। তারপরও টাকা বাবদ আমার কাছ থেকে
নিয়েছেন সাদা স্টাম্পে সই ও আমার ব্যবহারিত মোটরসাইকেলটি রেখে দিয়েছেন তিনি। পৌর-সভার প্রায় সব এলাকায় চলে এ কারবার যেমন কলেজ স্টান্ড,মেইন বাসস্ট্যান্ড,বলুহর স্টান্ড,হাসপাতাল মোড়, আখ
সেন্টার,রেলস্টেশন,পোস্ট অফিস মোড়,মেইন বাজার, সলেমানপুর,চৌগাছা স্টান্ডের একাধিক ব্যক্তি এই সুদে কারবারে জড়িত। ইউনিয়নের ভিতর, এলাঙ্গী গ্রাম,ফাজিলপুর বাজার, জালালপুর,সাফদারপুর,বলুহর,
জগদাসপুর,জগন্নাথপুর,কাগমারী উল্লেখযোগ্য।এইসব এলাকার সুদেকারবারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।