আবু তালেব,স্টাফ রিপোর্টার :
গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষক লীগ যথাযোগ্য মর্যদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয় দিবস পালন করে।
গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। জাতীয় পর্যায়ে এ দিনটি পালিত হয় বিজয় দিবস হিসেবে ।
দেশের সকল স্থানে এ দিবসটির সূচনা হয় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শহীদের স্মরণে স্মৃতি সৌধ ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে। তারই ধারাবাহিকতায় গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সাথে পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য দান ও সকল শহীদের স্মরণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের পর বাঙ্গালীরা পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে থেকে সর্বদা লাঞ্চিত ও বঞ্চিত হয়ে আসতে থাকে। পাকিস্তানীদের হাত থেকে লাঞ্চিত ও বঞ্চিত বাঙ্গালী জাতিকে রক্ষার হাল ধরে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান। ১৯৭১ এর ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ সমগ্র বাঙ্গালীর মনের ভিতরে জন্ম দেয় সংগ্রামী চেতনার।
২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সকল শহীদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে বিজয়ের ৫১ বছর পদার্পনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন দেশের সর্ব স্তরের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর এ অসামান্য অবদান আজও গেথে আছে দেশের সকল মানুষের মনে।