চৌদ্দগ্রামে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার সাথে জড়িততের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পলিত
মোঃ খোরশেদ আলম,বিশেষ সংবাদদাতা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক কামাল হোসেন নয়ন ও আতাউর রহমান রিপনের এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার সকালে কর্মরত সাংবাদিকরা মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়ক সংলগ্ন দোয়েল চত্বর এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচিতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এসময় চৌদ্দগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক এম এ কুদ্দুস, আবদুল মান্নান ও আক্তারুজ্জামান মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা চৌদ্দগ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক এশিয়ান টিভির চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক কামাল হোসেন নয়ন ও পৃথক সন্ত্রাসী কর্তৃক দৈনিক ভোরের কলামের সাংবাদিক আতাউর রহমান রিপনের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং ঘটনার সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি জানান।
জানা গেছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় র্যাব চৌদ্দগ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পৌরসভা এলাকার গোমার বাড়ির বাবুল মিঞার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন নওশাদ এবং ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা গ্রামের রবিউল হাসান পিয়াসকে বিপুল পরিমাণের মাদক সামগ্রী নিয়ে গ্রেফতার করে ।
ওই সময় ঢাকার সাংবাদিকরা এশিয়ান টিভি সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সচিত্র সংবাদটি প্রচার করেন। জেলহাজত থেকে জামিনে বেরিয়ে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ী নওশাদ ও পিয়াসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চলতি মাসের ২৪ জুলাই চৌদ্দগ্রামের ট্রেনিং সেন্টার এলাকায় এশিয়ান টিভির চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি কামাল হোসেন নয়নের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার দুই দিন আগে স্থানীয় দৈনিক ভোরের কলম পত্রিকার সাংবাদিক আতাউর রহমানকে মুন্সিরহাট এলাকায় অপর একটি সন্ত্রাসী দল হামলা চালিয়ে গুরুতরা আহত করে। দুই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে কর্মরত সাংবাদিকরা চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুভরঞ্জন চাকমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়।
সাংবাদিকের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার
সূত্র ধরে পুলিশ শনিবার রাতে মামলার মূল হোতা মোয়াজ্জেম হোসেন নওশাদ কে
গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার সাথে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে সে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।