জনস্বার্থে উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপনে খানাখানাবাদের চেয়ারম্যান জসিম
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী,চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের লক্ষ্যে জনস্বার্থ অবকাঠামো উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দার।নানান প্রতিকূলতার পরেও নিরলস ভাবে জনস্বার্থে কাজ করে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।জানা যায়,গত ইউপি নির্বাচনে খানখানাবাদ ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রতীক নৌকা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন জসিম হায়দার।এতে জনগণের প্রত্যক্ষ রায়ের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিতও হন তিনি।এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচন পূর্বে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনের লক্ষ্যে খানখানাবাদ ইউপিতে উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের জন্যে পুরো এলাকাজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন জসিম।তবে সেই উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে নানা ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী কিছু কুচক্রী মহল।এমন দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় চিত্রাং তান্ডব আতংকে উপকূলীয় এলাকার লোকজন যখন নিরাপদ আশ্রয় খোঁজতে ঘর ছাড়া, ঠিক তখনি মানুষের জানমাল রক্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে সমুদ্র চরাঞ্চল থেকে বস্তাভর্তী বালি কাঁধে নিয়ে পানির স্রোতে ধ্বসে পড়া বেড়িবাঁধে বালির বস্তা বসাতে ব্যস্ত ছিলেন চেয়ারম্যান জসিম।দূর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, ওইসময় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন রোধে কাজ করলেও সমুদ্র সৈকত থেকে বালু উত্তোলন করে অবৈধ বাণিজ্য করছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়িয়েছিল স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল। তাতেও উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড থেকে একটুও পিছু হটেননি তিনি।এরই মধ্যে ওই ইউনিয়নের বি.বি. চৌধুরী সড়কের ১২শ মি. ডোংরা রায়ছটা সড়কের ৪৭০ মি. খানখানাবাদ আব্দুল হালিম সড়কের ৮৩ মি. সড়কের কাজসহ ৩ টি সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছেএছাড়াও আব্দুল হাকিম সড়ক, কালীপুর ইউপি টু খানখানাবাদ ইউপি সড়ক এবং মোশাররফ আলী বাজার থেকে খানখানাবাদ ইউপির সাগর পাড় পর্যন্ত ৬০০ মি. সড়ক এবং বাণীগ্রাম বাজার টু ইশ্বর বাবুর হাট সড়ক খানখানাবাদ ইউনিয়নে প্রবেশের প্রধান সড়কে ১২শ মি. কার্পেটিং কাজসহ ৩টি সড়ক টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানান, ইউপি সদস্য দিদারুল আলমসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা।
এবিষয়ে খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে এলাকার উন্নয়ন ও জনস্বার্থে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তাই জনগণ শতঃস্পূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিশ্রুতি পালনে অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি,যার ফলে খানখানাবাদের মানুষ আমাকে বেশ ভালোবাসেন।একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে আমার বিরুদ্ধে নানা ভাবে মিথ্যাচার
চড়াচ্ছে। সড়কের কাজের জন্যে বালু সংরক্ষণ করছে টিকাদার। আর ওইসব বালু সড়কের কাজে ব্যবহার করছে তারা। কেউ বিক্রি কিংবা অন্য কোথাও সাপ্লাই করার জন্যে বাল সংরক্ষণ বা স্তুপ করেননি। কিন্তু ওইসব বালু বিক্রি করে আমি অবৈধ ভাবে উপার্জন করে যাচ্ছি মর্মে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও অনলাইন পেইজসহ বিভিন্ন ভাবে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।এক গণমাধ্যম কর্মী ভাই আমার কাছে বালুর স্তুপের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন,আ ওইসব বালু সড়কে কাজের জন্যে সংরক্ষণ করছে টিকাদার।বালু নিয়ে বড় গাড়ী আসার মতো কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে ড্রেজার যোগে সমুদ্র পথে ওইসব বালু সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাও উনাকে স্পষ্ট ভাবে বলেছি।তাছাড়া পার্শ্ববর্তী এলাকায় কে বা কারা সমুদ্র সৈকত থেকে বালু উত্তোলন করে নাকি স্তুপ করেছে। সেই বিষয়েও আমার কাছ থেকে জানতে চাইলে আমি বলি বালু কারা উত্তোলন করছে সেটা আমি জানিনা। তবে আপনারা খবর নিয়ে দেখেন পারেন কারা করছে।আর প্রশাসনকেও বিষয়টি জানাতে বলেছি,কিন্তু কোন ধরনের খোঁজখবর না নিয়ে আমি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছি বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে বেড়াচ্ছে।আমি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।সরেজমিনে পরিদর্শন গেলে স্থানীয় বেশ কিছু লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়,সড়কের কাজের জন্যে টিকাদার বালু সংরক্ষণ করছে,কিন্তু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কে বা কারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে,আমরা এই মিথ্যাচারে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন লোক বলেন,তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী থাকাকালে স্থানীয় বদরুদ্দীন চৌধুরী নামে এক প্রভাবশালীকে বালু সংরক্ষণ /স্তুপ করতে লিখিত অনুমোদন দিয়েছিল,যার প্রেক্ষিতে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদরুদ্দীন বালু স্তুপ করেছে বলে জানান তারা।এবিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়,বালু সংরক্ষণ সংক্রান্তে মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ, ৪০৫৩ সিজেকেএস শপিং কমপ্লেক্স,কাজীর দেউড়ী, চট্টগ্রাম এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বদরুদ্দীন চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত বদরুদ্দীন চৌধুরীকে বালু সংরক্ষণ/স্তুপ সংক্রান্তে একখানা লিখিত অনুমোদনের কপি
দেখা যায়, আবেদন কপির তফসিলে বিএস জরিপের বিএস খতিয়ান নং ১৫৭০ ও ১৫৪৬, মৌজা পুঁইছড়ি,বাঁশখালীর সর্বদক্ষিণে দেখানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত অনুমোদন দেয়া হলেও ওই অনুমোদিত জায়গা বালু স্তুপ বা সংরক্ষণ না করে খানখানাবাদ ইউনিয়নের সমুদ্র তীরবর্তী উপকূলে অনুমোদন বিহীন জায়গা ঈশ্বর বাবুরহাট এলাকায় বালু উত্তোলন ও স্তুপ করে রাখার দৃশ্য দেখা গেছে।