টানা বর্ষণে বাঁশখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে টানা ৫ দিনের ভারি বর্ষণের প্রভাবে অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাডি হাঁটু পরিমাণ পানির নীচে তলিয়ে গেছে।গাছ পড়ে গেছে,বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ভারি বর্ষণে উপজেলার কালীপুর,পুকুরিয়া,খানখানাবাদ,বাহারচরা,কাথারিয়া,শীলকূপ,গন্ডামারা,ছনুয়া ইউনিয়নে পাহাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চল ঢলের পানিতে ভাসছে।এছাড়াও কোন জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে,যদিও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনীং ব্যবস্থা আছে,কিন্তু তা যথাযথ উপযুক্ত সময়ে সংস্কারের অভাবে ময়লা আবর্জনা জমে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার ফলে মূল রাস্তার উপর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউপির গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।এমনকি নিজেদের জীবন বাঁচাতে তারা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়,কালীপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বাঁশখালী প্রধান সড়কের পূর্ব পাশ থেকে হাছিয়া পাড়া ও ১নং ওয়ার্ড পুর্ব গুনাগরী এলাকাসহ উক্ত ইউপির বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চল ঢলের পানিতে ভাসছে।
স্থানীয়রা জানান,আমাদের এই ধরনের পরিস্থিতি অতিবাহিত করতে হবে তা কখনো চিন্তা করেনি,কারণ এর আগে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি আমাদের পূর্ব পাহাড়ি এলাকা জনগণকে,অতীতে দেখেছি বর্ষা
মৌসুম শুরু হলে বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢল ছড়া দিয়ে সহজে পশ্চিম দিকে নেমে যেতো,তবে আগের সেই পরিস্থিতি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ছড়ার উপর বড় বড়
দালান কোটা নির্মাণ করে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের বসবাসরত গ্রামটির পানি চলাচলের একমাত্র ছড়াটি ছোট করাসহ পাকা ঘরের বসবাসরত লোকজন তাদের ঘরে ব্যবহারিত ময়লা আবর্জনা গুলো ছড়াতে পেলে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,সেই সব স্বার্থলোভী মানুষের স্বার্থের কারণে পূর্ব এলাকার জনগণকে আজ পানির নিচে পরিবার পরিজনকে নিয়ে চরম দুর্ভোগে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কালীপুর ইউপি’র ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আলম বলেন,সারা দেশে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে,সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাঁশখালীতেও অতিবৃষ্টি হচ্ছে,প্রকৃতির উপর কারো জোর নেই,পানির নিচে বসবাসরত পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন আল্লাহ বৃষ্টি দিচ্ছে আমি কি করবো,আর সরকারি কোন অনুদান আসেনি বলে ছড়ার কাজ করতে পারেনি।আর মানুষের বাসায় পানি ঢুকলে আমি কি করবো বলে জানান।