যশোরের শার্শায় পিয়ারা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধূর দুই কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। গোটা শরীরে কিডনি জনিত কারণে নানাবিধ সমস্যায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় অর্থাভাবে সঠিক কোন চিকিৎসা না হওয়ায় আজ জীবন প্রদীন নিভে যেতে বসেছে তার।
অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে গভীর ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন পিয়ারা খাতুনের পরিবার । এ অবস্থায় সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন পিয়ারা খাতুনের কাছের মানুষেরা।
যশোরের শার্শা সীমান্তের বসতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির মেয়ে পিয়ারা খাতুন। দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে পড়াই ইতোমধ্যে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখায়ও কোন ফল পাননি তিনি। অর্থের অভাবে কোন রকম চিকিৎসা না পেয়ে আজ মৃত্যু পথযাত্রী সে।
দুটো কিডনি অকেজো হয়ে পড়ায় দিনে দিনে হাত পা মুখ সহ গোটা শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। অসহ যন্ত্রনায় ছটফটানি আর থেমে থেমে কান্নাকাটি সহ ধীরে ধীরে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন পিয়ারা খাতুন। পিয়ারা খাতুনের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে।
স্বামী থাকলেও নিজে মৃত্যু পথ যাত্রী ভেবে স্বামীকে স্বইচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছেন। যা অর্থকড়ি ছিলো ইতোমধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ নিজেকে বড় অসহায় মনে করছেন তিনি। পিয়ারা খাতুন বর্তমানে ঢাকার সিকেডি এন্ড ইউরোলজি হসপিটালে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা: তানভির রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তার বলেছেন অতিদ্রুত কিডনি ডায়ালাইসিস অথবা নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন অসহায় পিয়ারা খাতুন ।
দু’টো নষ্ট কিডনি নিয়ে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পিয়ারা খাতুন। সকলের একটু সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে তার জীবন। তাকে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে সবাই এমনটাই প্রত্যাশা অসহায় পরিবারের।
আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে এবং পিয়ারা খাতুনের সাথে সার্বিক যোগাযোগ মোবাইল নাম্বার হল-০১৯১১-৫৪৯০৮২ (বিকাশ ব্যক্তিগত)। সঞ্চিয় ব্যাংক হিসাব নং-১৪৩৬৮। সোনালী ব্যাংক, বাগআঁচড়া শাখা, শার্শা, যশোর।