মোঃ হাচিবুর রহমান,নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মরিচপাশা গ্রামে আপন চাচার জমি জালিয়াতি করে ভূয়া কাগজ তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আপন ভাতিজার উপরে।এ ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
জানা যায়,মরিচপাশা গ্রামের চাচা নজরুল ইসলাম ওরফে জাফর সরদারের সম্পতি জালিয়াতি করে ভাতিজা ধলু সরদার বিক্রয় করায় জাফর সরদারের ছেলে মোঃ শাফায়েত ইসলাম নিপুন নড়াইল কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ঞ.ঝ ১১৭/১৪। নজরুল ইসলাম ওরফে জাফর সরদারের আপন ভাই রফিকুল সরদারের ছেলে ধলু সরদার।
নিপুন সরদার অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা মরহুম জাফর সরদার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা তার সন্তান হিসাবে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাই না। আমার পিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩ বেঙ্গল রেজিমেন্টের ল্যান্স
নায়েক হিসাবে চাকুরীরত অবস্থায় মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার কারনে সেচ্ছায় তাকে অবসরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমার মা ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। মা ঝর্ণা বেগম মামা বাড়ি লোহাগড়াতে চিকিৎসারত অবস্থায় ২০০৫ সালের ২৫মে মারা যান।আমরা দুই ভাই বোন নাবালক থাকায় আমার চাচাতো ভাই লিটু সরদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম আমার বাবাকে সার্বিক ভাবে দেখাশোনা করতেন।
নিলুফা বেগম বলেন, আমার চাচা শশুর মরহুম জাফর সরদার পাগল ও বিছানাসজ্জা অবস্থায় থাকতেন। খাওয়া-দাওয়া সহ সকল কাজ আমি নিজে দেখাশোনা করতাম। আমার হতের উপরে ২০০৮ সালের ১লা জানুয়ারি মরিচপাশা তার নিজ বাড়িতে পাগল অবস্থায় মৃত্যুবরণ
করেন। আমার জানা মতে তোয়াক্কেল মৌলভীর নিকট আমার ভাসুর ধলু সরদার আমাদের বাড়ির রাস্তার পশ্চিম পাশে ২৯ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যার হাল দাগ নাম্বার ৬৬৬। এ বিষয়ে একই বক্তব্য দেন মৃত জাফর সরদারের চাচাতো ভাই মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে বাবুল সরদার।
নিপুন সরদার আরো বলেন , উত্তরাধিকার শর্তে আমার পিতার সম্পত্তি আমি ও আমার বোন পাই। কিন্তু অন্য কেউ কিভাবে বিক্রি করে? ২০১৪ সালে যখন জানতে পারি আমার চাচাতো ভাই ধলু সরদার আমাদের জমি বিক্রয় করেছে। পরে
কোর্টে আমি একটি মামলা করি। মামলা নং ঞ.ঝ ১১৭/১৪। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি ও তদন্তপূর্বক এটার সঠিক