নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়ায় স্কুলছাত্রীকে কোমলপানীর সাথে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৮জানুয়ারি ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে হয়ে নড়াগাতি থানায় মামলা দায়ের করলে ঐ রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুশান্ত বিশ্বাস (১৭) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে। সুশান্ত উপজেলার মূলশ্রী গ্রামের নিরেন বিশ্বাসের ছেলে।
গত রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাগুডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এই ছাত্রী ২৩ জানুয়ারী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিকালে বাড়ি ফেরার পথে জারিফ ও সুশান্তসহ তার দুই বন্ধু মিলে ঐ স্কুলছাত্রীকে কোমলপানীর সাথে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে রাস্তা থেকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
রাতে তাকে গ্রামের একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে দলবেধে পালাক্রমে ধর্ষনের পর ২৪ জানুয়ারী ভোরে তার বাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষক জারিফ বিশ্বাসের পিতা লেলিন বিশ্বাস ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার পর গত
শনিবার বিকালে ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে জারিফ বিশ্বাস ও সুশান্তসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করে ও একজনকে অঞ্জাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন এবং রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুশান্তকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নড়াগাতি থানার ওসি তদন্ত
ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বিরক্তি বোধ করেন এবং ফোন কেটে দেন।
বাগুডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ঘটনাটিকে জঘন্য হিসাবে উল্লেখ করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন,মামলা দায়েরর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।