ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সামছেল মোল্লা হত্যার বিচার ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ( আজ ১৭ জুন) শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা-সদরপুর সড়কের মানিকদা প্রাইমারী স্কুলে সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। এসময় তারা নিহত সামছুল মোল্লা হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবিতে করেন। তবে একই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২টি হত্যা মামলা কিভাবে হল, কেন হল, সুধীজনের প্রশ্ন । ২টি মামলা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান পরিবার ও এলাকাবাসী।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর ১৬ এপ্রিল রাতে ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে ছেলে ধরা সন্দেহে সামছেলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে পরিবারের । এঘটনায় ভাঙ্গা থানায় নিহতের পরিবার মামলা করতে গেলে তাদের মামলা না নিয়ে ১ সপ্তাহ পর পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের নামে আসামী করে মামলা দায়ের করেন । একই ঘটনার ১১ দিন পর নিহতের স্ত্রী ঝর্না বেগম বাদি হয়ে ফরিদপুর আদালতে ১৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এক হত্যায় ২ মামলা, সবাই হতভাগ।
নিহত সামছেল মোল্লা মা অভিযোগ বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে আসামিরা হত্যা করেছে। সে জমি বিক্রির ৩ লাখ টাকা আনতে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে গেলে তাকে চক্রান্ত করে ফরিদ, মুছা, টিটু, সজল তালুকদার, মুক্তার, জাহিদ ব্যাপারী সহ ২০/৩০ লোক আমার ছেলেকে হত্যা করে টাকা নিয়ে যায় । তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন দ্রুত আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাদের ফাঁসি দাবি করছি ।
নিহত সামছেল মোল্লার ১ম স্ত্রী ঝর্না বেগম বলেন, আমার ৪টি সন্তানকে যাহারা এতিম করেছে, তাদের আমি ফাঁসি চাই । আমি প্রথমে ভাঙ্গা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমার মামলা নেয়নি । পরে আমি কোর্টে গিয়ে ১৭ জন ব্যাক্তিকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর ভাঙ্গা সিআর ১৮৩/২৩। তারিখ ২৫/৪/২০২৩,
২য় স্ত্রী বেবী বেগম বলেন, আমার ১ বছরের ১টি সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী সামছেলকে টাকা জন্য আসামিরা মেরে ফেলেছে। তাই তাদের গ্রেফতার করে ও ফাঁসি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এসআই অপূর কুমার জানায়, সামছেলের মা ও ২ জন স্ত্রী থাকার কারনে তখন ৩ জনই বাদি হতে চায়। তাদের পরিবারিক সমস্যার কারনে পরে আমি(পুলিশ) গত ২২ এপ্রিল বাদি হয়ে ১০০/১২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করি । ভাঙ্গা থানা মামলা নং ৪০, তারিখ ২২/৪/২৩। একই নিহতের পরিবার আদালতে আরেকটি মামলা করেছে।
এব্যাপারে ফরিদপুর নারী ও শিশু জজ আদালতের পিপি দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, একই হত্যার ঘটনার ২টি মামলা হলে ২টি তদন্ত হবে। কিন্তু জটিলতা ও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যখন আলাদা আলাদা তদন্ত রিপোর্ট আসবে। পরে ২টি মামলা এক সাথে চলাবে আদালত।