লালমনিরহাট সদরে জেলা প্রশাসক দিলেন বরাদ্দ, বিতরন করলেন না ইউএনও; ঈদ আনন্দ বঞ্চিত বন্যাত্বরা
মাটি মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
ত্রানের অভাব ঈদ করতে পাচ্ছে না বন্যাত্বরা।
বরাদ্দ দিলেন জেলা প্রশাসক বিতরন করলেন না সদর ইউএনও পানি বন্ধী পরিবারের জন্য লালমনিরহাট সদরে ৬৫ মেঃটন চাউল ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ।
ইউএনও করলেন না তা বিতরন। ইউএনও খামখেয়ালিতে ল্যাস্প হবে বরাদ্দের বন্যাদের ওই চাল ও টাকা। বন্যাত্ব পরিবার গুলো বঞ্চিত হলো ঈদ আনন্দ।জানাগেছে, সাম্প্রতি লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। পানি বন্ধী হয়ে পড়ে জেলার ৫টি উপজেলায় কয়েক হাজার পরিবার। পানিবন্ধী পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসক ৩শত মেঃটন চাউল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ৫টি উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয় ত্রান অফিস থেকে। ৪টি উপজেলায় বন্যাত্ব পরিবারের চাল ও টাকা বিতরন করে ইউএনওরা।শুধু লালমনিরহাট সদর উপজেলার বন্যাকবলিত পরিবারের জন্য ৬৫ মেঃটন চাউল ও নগত ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪দিন পূর্বে। ৪দিনে পানি নেমে গেলেও বন্যাত্ব পরিবার গুলো পায়নি কোন সরকারী ত্রান সহায়তা। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,রাজপুর,গোকুন্ডা তিস্তা বেষ্টিত কয়েকটি গ্রামের প্রায় পানিবন্ধী ছিলো হাজার পরিবারের অধিক।জেলা ত্রান অফিস সূত্রে জানাগেছে, সোমবারের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল ও টাকা পানিবন্দীদের মাঝে বিতরন করা না হলে ২৬ জুন শেষ অফিসে ওই চাল আর টাকা ল্যাস্প হয়ে যাবে তা সরকারের ঘরে যাবে। আর বিতরন করা যাবে না। ওদিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, বন্যাত্বদের বরাদ্দ কথা বলা হয়েছে কিন্তু বরাদ্দ পেয়েও তা বিতরন না করায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বন্যাত্ব সদর উপজেলার পরিবার গুলো সরকারী চাল ও সাহায্য না পাওয়ায় ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে।
অসহায় পরিবারের মানুষ গুলো সরকারী সহয়তা না পেয়ে কস্টে রয়েছে। বঞ্চিত হয়ে পড়ছে ঈদ আনন্দ থেকে। খুনিয়াগাছ কালমাটির সালাম জানান, পানি তার বাড়িতে ছিলো হাটু পর্যন্ত। পানি তার সংসারের জিনিষপত্র তছনছ করে। সে জানায় ঘড় ঠিক করবো না ঈদ করবো। মাস্টার পাড়ার রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ না আমাদের পানিতে সব শেষ এখন পানিতে নস্ট ঘড় ঠিক করছি সরকারী চাল সাহায্য পাই নাই। ঘড় ঠিক করমো না ঈদ করমো। সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকতা ইউএনও জান্নাতারা ফেরদৈস এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান,পানি নেমে যাওয়ায় বরাদ্দের ত্রান বিতরন করা হবে না।৪টি উপজেলায় বিতরন কি করে হলো তা বললে তিনি কোন উত্তর দেননি। ওদিকে পানি বন্ধীরা ত্রান না পাওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ কে জানালে তিনি জানান, পানিবন্ধী পরিবারের জন্য জেলায় ৩শত মেঃটন চাল ও ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৫ মেঃটন চাল ও ৬৫ হাজার টাকা বিতরনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেন বিতরন করলো না তা জানা নেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশাস দেন তিনি।