বাঁশখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘরে থেকে চেয়ারম্যানের সুনামক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার
মুহাম্মদ এরশাদ,বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিয়মিত বসত ঘরে বসবাস করলেও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে
বেড়াচ্ছে মর্মে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়,উপজেলার ১ নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা ছিদ্দিক আহমদ নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ওই ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসহাব উদ্দিন এর ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মর্মে অভিযোগ তুলে নানা ধরনের অপপ্রচার করছে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল,পুকুরিয়া ইউনিয়ন থেকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে দুই দুই বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সুনামক্ষুন্ন করতে স্বার্থান্বেষী
মহলের মিথ্যা অপপ্রচারে বিব্রত নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার পর অত্যন্ত
জনপ্রিয়তা অর্জন করেন,এরই প্রেক্ষিতে পুকুরিয়া ইউপি থেকে দুই দুই বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আসহাব উদ্দিন।তারই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দূস্থ,গরীব,অসহায় পরিবারকে অর্থ সহায়তাসহ ন্যায় নিষ্ঠার সাথে জনস্বার্থে নিরলস সেবাদানে নিজেকে
উৎসর্গ করায় চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিনের ব্যাপক সুনাম অর্জনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার স্থান পেয়েছে আসহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান।এরই মধ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যানের ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মর্মে
অভিযোগ তুলে ওই চেয়ারম্যানের সুনামক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে,এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দাও জানান স্থানীয় সচেতন মহল।ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসহাব উদ্দিন বলেন,আমার ভয়ে নাকি
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে,কিন্তু সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা দেখে আসেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা কি ঘরে আছে নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছে? সেটা আপনারা সরাসরি দেখে আসেন।এসময় আসহাব উদ্দিন আরো বলেন, আমি ২৫ বছর যাবত মেম্বারী
করেছি,এরপর থেকে জনগণের ভালোবাসা ও প্রত্যক্ষ ভোটে দুই দুই বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।আমার ইউনিয়নের প্রত্যকটা ঘরে ঘরে গিয়ে আপনারা জিজ্ঞেস করে দেখেন,আমি কোন দিন কোনো বিষয়ে একটা টাকা কারো
কাছ থেকে মেরে খেয়েছি কিনা?জন্ম, মৃত্যু ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যায়ন এবং চারিত্রিক সনদ প্রদানসহ মানুষকে সেবা দিয়ে গেলেও কিছু স্বার্থান্বেষী লোক জনগণ অন্তর থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে বলে জানান আসহাব উদ্দিন।তিনি আরো বলেন,
অপপ্রচারের বিষয়টিকে পূজি করে গণমাধ্যম কর্মী পরিচয় দিয়ে কিছু লোক আমাকে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করিলে আমি এই বিষয়ে এক টাকাও চাঁদা দিতে পারবোনা বললে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকে আরো
জোরালো করার পায়তারাও করছে।তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আহমেদ এর পরিবারের সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘরে বসবাস করছে।
এবিষয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আহমেদের বোন ফাতেমা বেগম বলেন,আমরা নিয়মিত ঘরে বসবাস করি,কোন প্রয়োজন হলে ঘরের বাহিরে যাই।কিন্তু আপনারা কারা? তাঁর এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন,গত রমজান মাসে
আমাদের বাড়ি এলাকায় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার নামক কি কাপড় কত গুলো বিতরণ করতে আসছিল,আমার ছেলে মোঃ বশির আমাদের ওই কাপড় লাগবেনা বলে, পরে এই বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, আমরা ঘরে বসবাস করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না বলে স্বীকার করেন ফাতেমা বেগম।
এসময় পার্শ্ববর্তী পরিবারের আব্দুর রশিদের স্ত্রী মমতাজ বেগম এবং আব্দুল খালেকের স্ত্রী ছেমন আরা বেগম,মোঃ শাকিলসহ বেশ কয়েকজন লোক বলেন,তাদেরকেতো সব সময় ঘরে থাকে দেখেছি এবং এখনো আছে।
তারা যে চেয়ারম্যানের ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এমন কথাতো আমরা শুনিনাই।তারাওতো কখনো এলাকার কাউকে এধরণের কোন কথা বলেনাই। কেন ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াবে,তাতো আমরা বুঝতে পারছিনা। ফাতেমা বেগম এবং তার ছেলে বশির আহমদসহ সবাইতো ঘরে থাকতে দেখেছি।