স্টাফ রিপোর্টার, সৈকত মন্ডল
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের অধিবাসী একমাত্র পুত্র সোহরাব বাওয়ালি ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্নিঝড়ে গভীর সমুদ্রে সলিল সমাধি ঘটে এবং ২০১৫ সালে গভীর সমুদ্রে সলিল সমাধি ঘটে চারাখালি গ্রামের ছত্তার আমানির।
শনিবার সন্ধ্যায় বড় আন্ধারমানিক শিকদার বাড়িতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্বদেশ মানব কল্যাণ সোসাইটির সন্মানিত প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ধানমন্ডি থানা আওয়ামী মহিলা লীগের সহ-সভাপতি মিসেস মৌমিতা রহমান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,
এমন হ্রদয় বিদারক ঘটনা এলাকায় না এলে জানতাম না।এটি খুবই মর্মান্তিক ট্রাজেডি অসংখ্য জেলের সলিল সমাধি হলেও সকলেই পাবার যোগ্য এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে দুটি পরিবারের মাঝে মাথাগুজার ঠাই হিসেবে নগদ অর্থ ২ লাখ টাকা ও তাদের আগামী রোযা
উপলক্ষে তাদের দুঃখ কষ্ট লাঘবে আমরা সোসাইটির উপস্তিত চারজন কর্মকর্তা আরও ৮ হাজার টাকা দিলেও মনের প্রশান্তি মেলেনি।সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এককালে ঢাকার ভেজাল বিরোধী অভিযানে দেশ বিদেশে আলোচিত হিরো ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ পরিবহন
মন্ত্রণালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব রোকোন উদ দৌলা তিনি বলেন, আমাদের জাকাতের ও নিজ সঞ্চিত অর্থ প্রদান করে সত্যি গর্বিত।এখানকার চিত্র এবং বাস্তব জেলে পরিবারের করুন কাহিনি তাদের চোখে যেন
এখনও অশ্রু নির্বাপিত হচ্ছে।তিনি বলেন এই রিমোট এরিয়ায় এসে মনটা বিগলিত হয়েছে তাই তিনি আবেগ তাড়িত কন্ঠে বলেন,আপনারা নির্ধারিত করুন আরও একটি পরিবারকে গৃহ নির্মান কল্পে অনুদান প্রদান করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, টাকার যথাযথ অর্থবোধক হিসেবে বিবেচনা করে সঠিকতর পুরো পুরি ভাবে খরচ করতে হবে,যে খাতে এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি এলাকার মানুষের সাথে আলাপচারিতায় অনেক মুগ্ধ অনেক খুশি।
সময় পেলে আবার আসবেন এই বাটে অসহায় মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এবং বাংলাদেশ গন আজাদী লীগ সভাপতি বাগেরহাট জেলার
কৃতি সন্তান এস কে শিকদার বলেন, অসহায় দুঃস্থ মুমুর্ষ মানুষের পাশে সবসময়ই বাংলাদেশ স্বদেশ মানব কল্যান সোসাইটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। করোনা কালে যখন সব কিছুই স্থবির থমকে যাবার মতো তখনও এই সোসাইটির কর্মকর্তারা নিজেদের পকেটের অর্থ
খরচ করে চিকিৎসা, ওষুধ পথ্য এবং সাধারণ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র প্রদান অব্যাহত রেখেছে।জনকল্যাণে এই সোসাইটি সবসময়ই আছে দেশের যে কোন অসহায় নাগরিকদের পাশে।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সন্মানিত সহ- সভাপতি মিসেস
ফারহানা ফেরদৌস, মঘিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড,পংকজ কান্তি অধিকারী, ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মান্নান,সাংবাদিক আজাদ রুহুল আমিন, কচুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সুজন
দিদার,মৎস্যজীবী ইব্রাহীম আমানী প্রমুখ। উল্লেখ্য যে ২০১৫ সালে বগা গ্রামে ১৯ জেলে সহ কচুয়া উপজেলার মোট ২৯ জেলের সলিল সমাধি ঘটেছে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্যোগকালে এ পর্যন্ত আরও শতাধিক জেলের জীবন বিপন্ন হয়েছে।