বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১১দিন পর আসছে পাথর
আহসান হাবিব,পঞ্চগড় প্রতিনিধি,
ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে ধর্মঘটের ১১ দিন পর চারদেশি স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় পাথর আমদানি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে বন্দরটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, সমস্যা সমাধানের পর থেকেই পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। শনিবার এ স্থলবন্দরে ৩৮টি পাথরবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে ভুটান থেকে এখনো পাথর আসেনি।
তিনি জানান, আমাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা না থাকলেও ভারতের ফুলবাড়ি বন্দরে সমস্যার কারণে ১১ দিন পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এ কদিন পাথর আমদানি না হওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তবে এ বন্দর দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, আমাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি পাথর নির্ভরশীল। এ বন্দরে অন্য সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানির তুলনায় পাথর আমদানিই হয় বেশি। কয়েক দিন পর আবার ভারত থেকে পাথর আসতে শুরু করেছে। কদিন বন্ধ থাকায় আমাদের শ্রমিকদের অলসহ সময় কাটাতে হয়েছে।
কাজ না থাকায় বেশ সমস্যা গেল।বাংলাবান্ধা কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভারতে ধর্মঘটের কারণে টানা কয়েকদিন পাথর আমদানি বন্ধ থাকার পর শনিবার বিকেল থেকে ভারত থেকে পাথর আসা শুরু হয়েছে। তবে ভুটানের পাথর আসেনি।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন বলেন, পাথর আসা শুরু হয়েছে। ভারতের ফুলবাড়িতে ¯ বুকিংয়ের নামে রপ্তানিযোগ্য পাথরের ট্রাক থেকে আকার ভেদে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে সেখানকার ট্রাক মালিকারা পাথর পাঠানো বন্ধ
রেখেছিলেন। যার ১১ দিন পাথর আমদানি করা সম্ভব হয়নি। পাথর আমদানি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পাথর আসতে শুরু করেছে।উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ¯ফ্লোট বুকিংয়ের নামে প্রতি ট্রাকে ৩-৫ হাজার টাকা আদায় করার প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করে ফুলবাড়ি বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার
অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, ভুটানের পাথরবাহী ট্রাক থেকেও টাকা আদায় করতে হবে। ধর্মঘটের কারণে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর এটি। পাথর আমদানি দিয়ে শুরু হয়েছিল বন্দরের আমদানি কার্যক্রম। প্রতিদিন বন্দরটিতে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি ৪ থেকে ৫শ ট্রাক পাথর আমদানি
হয়ে থাকে। ফুলবাড়িতে ধর্মঘটের কারণে ১১ দিন ধরে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আমদানিকারক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনি কর্মহীন হয়ে পড়েন বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।