বাগমারায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট
সোহেল রানা, সত্যকন্ঠ:
রাজশাহীর বাগমারায় গ্রামীণ হাটগুলোতে কোরবানীর পশুর ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগমন ঘটেছে। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে হাট থেকে সাধ্যমত বিভিন্ন দামে গরু, ছাগল, ভেড়া কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন হাটে কোনবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় চলছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী হাটগুলোতে পশুর সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। বছরের পর বছর গ্রামের গৃহস্থ্য নারী-পুরুষরা গরু, ছাগল, ভেড়া অধিক লাভের আশায় যত্ন করে লালন-পালন করে বড় করে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। সখের পশুগুলো ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পেরে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হাটগুলোতে পশুর আমদানী বেশি থাকায় চাহিদা মতো পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে হাট বসেছিল রোববার।এর মধ্যে মচমইল হাট অন্যতম। এ হাটে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। বেশি পশু উঠায় এক রকম বেকায়দায় পড়ে ক্রেতারা। কোনটা রেখে কোনটা ক্রয় করবে। এছাড়াও উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর, নরদাশ সহ কয়েকটি স্থানে পশুর হাট বসানো হয়েছিল।
মাধাইমুড়ি গ্রামের পশু বিক্রেতা আক্কাস আলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে লাল রং এর একটি ষাঁড় লালন-পালন করে ন্যায্য দামে বিক্রি করেছেন। কুরবানীর জন্য গরু ক্রয় করেছেন মচমইল গ্রামের বাবুল আকতার। তিনি জানিয়েছেন, গরুর ব্যাপক আমদানী ছিল। সেখান থেকে চাহিদা মত পশু কিনতে পেরেছি।
মচমইল হাটের ইজারাদার রহিদুল ইসলাম জানান, আমরা কমিটির পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কোন ক্রেতা যাতে প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে সে কারনে গ্রাম্য পশু চিকিৎসক রাখা হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত কোন ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা চিন্তা করে আগামী বুধবার মচমইল হাটে আবারও পশুর হাট বসানো হবে। সেই সাথে রাতে যেন পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যায় সে কারনে হাটে লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,এফ,এম,আবু সুফিয়ান জানান, উপজেলার হাটগুলোতে কোরবানীর পশুর যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ন্যায্য দামে কেনাবেচা করছে। হাটগুলোতে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয় সে কারনে ইজারাদারদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর রয়েছে।