

“শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন”—এই মূলনীতি ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বহু বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম জনপদগুলোতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সম্প্রতি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নং সাজেক ইউনিয়নে(সাজেকে অবস্থিত) সাজেক জুনিয়র হাইস্কুলে বাগাইহাট জোনের *ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর এম এম জিল্লুর রহমান* এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে স্কুলের ব্যাপক উন্নয়ন যেমন:স্কুলের গেট, শহীদ মিনার, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, জাতীয় পতাকার বেজ নির্মাণ,নতুন টয়লেট নির্মাণ,
বাঘাইহাট জোনের উদ্যোগে এবং ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর এম এম জিল্লুর রহমান এর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় এবার সেই চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী আয়োজন করে উক্ত স্কুলের এবং পাহাড়ি এলাকার তরুণদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে নতুন গতি এনে দিয়েছে সেনাবাহিনীর সৌহার্দ্যপূর্ণ উপস্থিতি পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর এম এম জিল্লুর রহমান তিনি স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তাঁর এই কাজের ধারাবাহিকতা স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার প্রতি গভীর আস্থা তৈরি করেছে।
স্থানীয়দের মতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ তরুণদের ভুল রাস্তা থেকে দূরে রাখছে, বিশেষ করে এমন সময় যখন পাহাড়ের কিছু এলাকায় বিভ্রান্তিমূলক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়। এমন সময় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী যেমন আনন্দ ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে, তেমনি সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতাও জোরদার হচ্ছে।
একজন প্রবীণ পাহাড়ি বাসিন্দা আবেগভরে বলেন,
“আগে বাচ্চারা ঘরে বসে থাকত। এখন সেনাবাহিনীর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমাদের বাচ্চাদের খেলাধুলা, স্কুল,চিকিৎসা—সব দিকে সাহায্য করছে।
বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর এম এম জিল্লুর রহমান জানান, পাহাড়ি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।










