ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তর নিয়ে ৪ গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষে আহত ৩৫ প্রায় ২০ টি বাড়ী ভাংচুর
ওবায়দুর রহমান,স্টাফ রির্পোটার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া, ব্রহ্মনকান্দা, মৃধাকান্দা ও খাঁকান্দা নাজিরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষে নারী পুরুষ সহ কমপক্ষে ৩০ জন লোক আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত মাসুদ মুন্সী(৩৫), শামীম মোল্লা(৪০), নজরুল মাতব্বর(৩০), বীর মুক্তিযোদ্ধা করিম মাতুব্বর(৮০), সহ আরো সাত থেকে আট জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, এই চার গ্রামে দুটি দল রয়েছে খুব শক্ত
অবস্থায় । কেউ কারো মানতে পারেনা।একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দেন করিম মাতুব্বর, ইয়াকুব মিয়া। অপর গ্রুপে নেতৃত্ব দেন, কালাম মোল্লা, মজিবর তালুকদার ও শাহাবুর চেয়ারম্যান। দুই দলের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে সাপ, বেজির মত বিরোধ চলে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামে সরোয়ারের মুদি দোকানে পান খাইতে যায় ইয়াকুব মিয়া। ইয়াকুব মিয়া চলে যাওয়ার পরে তাকে কালাম মোল্লা গ্রুপের আক্কাস মাতুব্বর গালিগালাজ করে। গালিগালাজের প্রতিবাদ করে ইয়াকুব গ্রুপের শাকিল
মাতুব্বর ও জোবায়ের মাতুব্বর। এনিয়ে তখন কালাম গ্রুপের লোকেরা ওদেরকে ধাওয়া করে। রাতেই দুই গ্রুপই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে দেন। সেই জের
ধরে উভয় গ্রুপ রাতভর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বুধবার সকালে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুইঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় ইয়াকুব মিয়া গ্রুপের এর বাড়িতে ভাংচুর চালায় অপরপক্ষ।
এ ঘটনায় মানিকদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ওই চার গ্রাম যদিও আমার ইউনিয়নে কিন্তু কেউ আমার কথা শোনে না, আমাকে মানেও না। এদের গন্ডগোল সারা বছরই লেগে থাকে। আমি রাগ করে ঘটনাস্থলে যাইনি।
এদিকে এক গ্রুপের দলনেতা নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহাবুর বলেন, ইয়াকুব মিয়ার লোকদের সাথে কালাম মোল্লা দলের কসাইদের সাথে কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে, কালাম মোল্লা গ্রুপের ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং ৭/৮ জন আহত হয়।
এদিকে অপর গ্রুপের দলনেতা ইয়াকুব মিয়া বলেন, সরোয়ারের দোকানে পান খাইতে গেলাম কেন? এ নিয়ে তারা আমাকে গালিগালাজ করে কালাম ও চেয়ারম্যানের লোকেরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে দেন। অথচ শাহাবুর চেয়ারম্যান, কালাম
মোল্লা,মজিবর তালুকদার এরা রাতভর অন্য এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে এনে আমাদের উপর সকালে অতর্কিত হামলা চালায়। আমার বাড়ি সহ ভাই ভাতিজার অন্ততঃ ১৩টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের প্রায় ২০ জন লোক গুরুতর আহত হয়।
আমাদের দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো পযর্ন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।