ভাঙ্গায় অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার
ওবায়দুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘীরপাড় নয়াকান্দী গ্রামের বিলের মধ্যে ধান খেতের পাশ থেকে জনৈক ব্যক্তির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও সিআইডির চৌকস টিম।
বৃহস্পতিবার (২৮জুন) সকালে গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের ভিতর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশে ও স্থানীয় সূত্রের জানাযায়, উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘীরপাড় পাশে নয়াকান্দী গ্রামের বিলের মধ্যে কৃষি জমিতে কাজ করতে গেলে ধান ক্ষেতের ভিতরে কঙ্কাল এর কিছু মাথা ও হাড় বিচ্ছিন্ন সিটানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও জেলা সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ধান ক্ষেতের থেকে মানুষের কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার করে ।
এদিকে নিহত পরিবারের ছেলে মিজানুর হাওলাদার জানান,বিগত একমাস আগে পার্শ্ববর্তী শিবচর উপজেলা এলাকার মামাতো ভাই মরার খবর সংবাদ পেয়ে আমার বাবা ২৫-৫ ২০২৪ তারিখে সকাল ১০ দিকে লুঙ্গি ও গামছা নিয়ে রওনা হয়। পরে আমার বাবা নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও না পেয়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে আমরা একটি জিডি করি। ২৭ জুন বিকালে স্থানীয়রা ঘাস কাটতে আসলে কৃষি জমি ধান খেতের মধ্যে কঙ্কাল দেখতে পায়। আমার বাবার পরানের লুঙ্গি ও একটি গামছা দেখে আমার বাবার লাশকে সনাক্ত করি।
কঙ্কালসার মানুষের মৃতদেহের পরিধান লুঙ্গি দেখে কালামৃধা ইউনিয়নের ঘোষ গ্রামের মানষিক রোগে আক্রান্ত মোতালেব হাওলাদারের মৃতদেহ বলে তার পরিবারের লোকজন সনাক্ত করেন। গত প্রায় একমাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ হওয়া পর ভাংগা থানার একটি জি ডি করা হয়েছিলো।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহানশাহ বলেন, গতকাল কালামৃধা ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামের ফসলি মাঠের ভিতর কঙ্কাল পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। কঙ্কাল টি ছিন্নবিচ্ছিন্না ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করা হয়। সেই জিডির ভিত্তিতে লাশটি প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা হয়। ঐ লাশটিল পরিহিত পোশাক দেখে লাশ টি শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের সাথে ডিএনএ স্যাম্পল মিলায়ে পরে অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হবে। আর কোন তথ্য উদঘাটন হলে আমরা তখন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।