শব্দদূষণ ও উপকূলীয় দূষণ প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্ত করা হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
আলী আহসান রবি;স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় এলাকায় দূষণ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হবে। এ কাজে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তরুণদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর “অপারেটিং ডাইভার্সিফায়েড অপরচুনিটিজ ইন মাস-মিটিগেশন অফ অবস্টাকলস অফ গার্লস এডুকেশন’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর গুলশানের সিএমকে সেন্টারে জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জেস ফর গার্লস ইন এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েজ টু ওভারকাম দেম’ শীর্ষক অ্যাডভোকেসি ডায়লগে তাঁর বাসভবন হতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, মেয়েদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পরিবার, সমাজ ও বেসরকারি খাতের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে যেন মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে এবং পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
আলোচনা সভায় নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মেয়েদের শিক্ষার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত সমাধান ও নীতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।
এই ক্যাটাগারীর আরো নিউজ পড়ুন
ইইউ সংস্কার এজেন্ডা সমর্থন করতে প্রস্তুত বললেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার আজ সকালে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের সাথে একটি সূচনামূলক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য ইইউ-এর প্রস্তুতির কথা জানান।
সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানকে পরিবর্তনের একটি অভূতপূর্ব সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে, রাষ্ট্রদূত মানবাধিকার ও সুশাসনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াসহ এই পরিবর্তন ও সংস্কারে ইইউ-এর সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ইইউ আরো বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে চায় এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের উত্তরণকে সমর্থন করতে চায়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইইউ-এর সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ-ইইউ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য একটি ভালো ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যকার সম্পর্ককে প্রাণবন্ত ও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উন্নতির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ইইউ-এর সহায়তার অনুরোধ করেন। তিনি কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশে জমাকৃত চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ইইউ রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রেল, জ্বালানি, পানি ও স্বাস্থ্য খাতে EIB-এর চলমান 900 মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশে EIB-এর বিনিয়োগ পোর্টফোলিও বাড়ানোর জন্য EIB-এর প্রস্তুতি ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির উপর আসন্ন আলোচনার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ এবং কক্সবাজারে আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য অব্যাহত সহায়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রত্যাবর্তনই দীর্ঘায়িত সঙ্কটের একমাত্র টেকসই সমাধান।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ পড়ুন:
পৃথিবীকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবী রক্ষা করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুব সমাজ জলবায়ু কর্মে অগ্রগামী। তাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও আগ্রহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমনওয়েলথের মতো প্ল্যাটফর্ম তরুণদের আরও শক্তিশালী করতে পারে, যাতে তারা টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
আজ সন্ধ্যায় গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে “ইয়ুথ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন দ্য কমনওয়েলথ” শীর্ষক এক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও বাংলাদেশে অবস্থিত কমনওয়েলথ মিশনগুলো যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ন্যায়বিচার চায়। তিনি জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে কম দায়ী হলেও এর বিরূপ প্রভাব ভোগ করছে। উন্নত দেশগুলো থেকে আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশা করলেও যথেষ্ট সহযোগিতা মেলেনি। তিনি উপকূলীয় জেলা ও ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো রক্ষায় কতটুকু অর্থ প্রয়োজন তা জানতে চান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন। তিনি জানান, বাংলাদেশকে যুব কর্মসূচি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্যোগের মাধ্যমে সহযোগিতা করবে অস্ট্রেলিয়া। মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, জলবায়ু কর্মী, তরুণ প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় কমনওয়েলথ দেশগুলো কীভাবে যুব নেতৃত্বে জলবায়ু উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা বাড়াতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়।