বেনাপোল অফিস :
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ডক্টর ডমিডরের ডা: জাহিদ হাসানের কক্ষে দিনে দুপুরে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বেলা ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন চোরকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ডা: জাহিদ হাসান।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডক্টর ডমিডরের ৪ নম্বর কক্ষে দীর্ঘ তিন বছর ধরে বসবাস করছেন ডা: জাহিদ হাসান। তিন বছরের মাথায় এই প্রথম বারের মতো এমন একটি ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটায় রিতীমত চমকে উঠেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার দিন সকালে ডা: জাহিদ হাসান নিজ কক্ষ থেকে চেম্বারে গিয়ে তিনি ১ টার দিকে ঘরে ফিরে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা সহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো রয়েছে।
পরবর্তীতে ঘর তল্লাশি করে দেখতে পান গলার ও কানের স্বর্ণালোংকার সহ প্রয়োজনীয় দামি দামি জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। ঘটনাটি তাত্ক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে জানালে কতৃপক্ষ পুলিশের কাছে জানান। ঘটনাটি জানতে পেরে শার্শা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ডা: জাহিদ হাসান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এতগুলো সিসি ক্যামেরা থাকতেও সরকারি দপ্তরে কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটলো বিষয়টি খুবই আশ্চর্য জনক। তবে ডক্টর ডমিরের সাথেই পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সামনে যে
সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেটি কাজ করছে না। দীর্ঘদিন ধরে ক্যামেরা অচলাবস্থায় পড়ে থাকলেও কতৃপক্ষের কোন নজরদারি নেই। এ সুযোগে একটি চোরচক্র ভয়াবহ এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
শুধু তাই না, একটি ক্যামেরা ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিদিকে অন্যান্য সিসি ক্যামেরা সচল থাকলেও প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সোনার গহনা, টাকা পয়সা সহ প্রয়োজনীয় মালামাল চুরির ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট কোন সদুত্তর নেই। এখানে কিভাবে চুরি হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিই বা পুষিয়ে দেবে কে সে বিষয়ে কারো মাথা ব্যাথাও নেই। ফলে দিন দিন চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চুরির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ আলী বলেন, চুরির ঘটনায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সামনে যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেটি অচল। ওটি আমার না।
এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত চলছে। এখনো কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।