যশোর প্রতিনিধিঃ
আওয়াম লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি এবং যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ বলেছেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। শিক্ষা দিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ঘরে ঘরে শিক্ষা শেখ হাসিনার দিক্ষা। তাই শিক্ষার্থীদের উন্নত মনের অধিকারী হতে হবে।
নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে ভালো মানুষ হতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি মানবিক গুণ অর্জন করতে হবে। শিক্ষকদের সাথে কখনও খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে কেউ জীবনে উন্নতি করতে পারে না। তাদের শ্রদ্ধা করতে হবে।
তিনি আজ যশোরের নওয়াপাড়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ড্রেস (ইউনিফর্ম) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা সুশিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করবে। বাংলাদেশে সরকারি
চাকরিজীবীদের প্রায় ৩৮ ভাগ নারী। প্রশাসনের সর্বস্তরে আজ নারীদের অংশগ্রহণ। আজ আমরা দেখি পৃথিবীতে বিরল, আমাদের দেশে যেখানে নারী প্রধানমন্ত্রী, নারী স্পিকার, নারী শিক্ষামন্ত্রী, নারী বিরোধী দলীয় নেত্রী তা সত্ত্বেও বিবাহিত নারীর মধ্যে ৮০-৮২ ভাগ নারী নির্যাতনের শিকার। আজকের মেয়ে আগামি দিনের মা।
নারীদের প্রতি সহনশীল হতে হবে। নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মানুষের বড় পরিচয় পুরুষ ও নারী নয় বরং মানুষ। তাই পুরুষদের অন্য নারীদের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
নওয়াপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম সরদারের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি আরশাদ পারভেজ বলেন, তোমরা ভালোভাবে পড়ালেখা করবে। তোমাদের সুশিক্ষা নিয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। দেশপ্রেম থাকতে হবে। শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ড্রেস বিতরণ একটি মহৎ উদ্যোগ। আবু কাজেম ফাউন্ডিশন অভয়নগরের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের স্কুলড্রেস দিয়েছেন।
এটি শিক্ষাবিস্তারে ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজের বিত্তশালীরা সামাজে ঝড়ে পরা এ সকল শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে এলে এ সকল শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
স্কুলের অসহায় শিশুরা নতুন স্কুল ড্রেস পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের এই আনন্দ আর হাসিখুশি মুখ দেখে আমার মনটা ভরে গেছে।