শিশুস্বর্গের নতুন ছাতা পেয়ে আনন্দে শিশুরা
আহসান হাবিব,তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) :
এখন থেকে বৃষ্টিতে ভিজে স্কুলে যেতে হবে সীমান্তের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের। এমন চিন্তা করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ছাতা উপহার দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন শিশুস্বর্গ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মাগুড়া গ্রামে রওশন আরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যা নিকেতনে ওয়ালটন পণ্যের নতুন ছাতাগুলো দেয়া হয়। রঙিন নতুন ছাতা পেয়ে হাসি ফুটেছে শিক্ষার্থীদের।
দরিদ্র শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাতার অভাবে বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে স্কুলে আসতে পারতাম না। এতো সুন্দর ছাতা পাব তা কল্পনাও করিনি। এ জন্য আমাদের প্রিয় শিশুস্বর্গকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি যিনি এ ছাতাগুলো আমাদের জন্য দিয়েছেন তাঁকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবীর আকন্দ জানান, সীমান্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিত ও হতদরিদ্র শিশুদের এ ছাতা প্রদান করা হয়েছে। বর্ষার সময় অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী ছাতার অভাবে স্কুলে আসতে চায় না। অনেকে ভিজে ভিজে স্কুলে এসে আবার বাড়িতে গিয়ে জ্বর-সর্দিতে ভুগে। সেজন্য বিষয়টি উপলব্ধি করে আমাদের এ ছাতাগুলো পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন পঞ্চগড় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম। আমরা এ ছাতাগুলো পাওয়ার পর আজ বিতরণ করেছি। ছাতাগুলো পেয়ে তারা অনেক উপকৃত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মহামারি করোনার প্রকোপের পর থেকেই অর্থনীতির মন্দার পরেও শিশুদের শিক্ষা নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে শিশুস্বর্গ চেষ্টা করেছে মেধাবী শিশুদের শিক্ষাবৃত্তি, শীত ও ঈদ বস্ত্র, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে উত্তর সীমান্তের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে আসছে জাহাঙ্গীরনগর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন। শিশুস্বর্গ প্রতিষ্ঠা করেন জাবিয়ান কবীর আকন্দ। এ দীর্ঘ সময়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছে। শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তিতে ৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী দেশের নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। অনেকে বিদ্যাপাঠ শেষ করে প্রবেশ করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।