সারিয়াকান্দিতে রোপা আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা
জাফরুল সাদিক, বগুড়া প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে রোপা আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় এবার রোপা আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মাঠের সোনালি ধান ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
রোপা আউশ ধান কাটার পর কৃষকরা সে জমিতে স্থানীয় জাতের রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করবেন। এর মধ্যে কিছু কিছু জমিতে রবি ফসল সরিষা চাষ করবেন বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। চাষিরা জানান, অনাবৃষ্টির কারণে এবার আউশ আবাদে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। এছাড়া পোকার আক্রমণে কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়েছে। এবছর সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে বাজারে ১হাজার থেকে ১হাজার ২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে ধান। গতবছর বিঘাতে ৪-৫ হাজার টাকা খরচে আউশের আবাদ হয়েছিল। এবছর শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে বাড়তি সেচ দিতে হয়েছে। এছাড়া ফসলের পোকার আক্রমণ হওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। আবার সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে করে প্রতি বিঘাতে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। যেখানে ফসল উৎপাদনে খরচ পড়েছে ৬-৭ হাজার টাকা। উপজেলার কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের ইন্দুরমারা চরের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছি। গত বছর আবাদ করতে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। এবছর শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে সেচ বেশি দিতে হয়েছে। সার, তেল ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় বিঘাপ্রতি আরও প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। এতে আবাদ করতে বিঘাপ্রতি প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘাপ্রতি ফলন হচ্ছে ১১-১২ মণ। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবছর ৭শ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, চরাঞ্চলের পতিত জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গত কয়েক বছর ধরেই কৃষকরা রোপা আউশ ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। রোপা আউশ ধান কর্তনের পর কৃষকরা সরিষা চাষ ,রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করবেন । এ বছর উপজেলায় রোপা আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে।