নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার ভারতকে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে। আশা করবো এই সরকার সেই রাস্তা থেকে সরে এসে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ নজর দিবে। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান’-এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। রাজধানীতে দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোমিন মেহেদী এসময় আরো বলেন, এ ঘটনায় বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই উত্তেজনা নির্মিত হয়েছে ১৯৭২ থেকে চলমান সময় অবধি। যতদূর জেনেছি ১৯৭২ সালে সীমান্তে ১৫, ১৯৭৩ সালে ২০, ১৯৭৪ সালে ২৩, ১৯৭৫ সালে ১১, ১৯৭৬ সালে ১৬, ১৯৭৭ সালে ২৭, ১৯৭৮ সালে ১২, ১৯৭৯ সালে ২২, ১৯৮০ সালে ১৮, ১৯৮১ সালে ১২, ১৯৮২ সালে ১৯, ১৯৮৩ সালে ১৬, ১৯৮৪ সালে ২৩, ১৯৮৫ সালে ২৭, ১৯৮৬ সালে ৩০, ১৯৮৭ সালে ১৭, ১৯৮৮ সালে ১৩, ১৯৮৯ সালে ১৭, ১৯৯০ সালে ১৮, ১৯৯১ সালে ১৫, ১৯৯২ সালে ১৬, ১৯৯৩ সালে ২৩, ১৯৯৪ সালে ৩৯, ১৯৯৫ সালে ৩৬, ১৯৯৬ সালে ৩১, ১৯৯৭ সালে ৩৩, ১৯৯৮ সালে ৩৭, ১৯৯৯ সালে ৩৮, ২০০০ সালে ১৬৯, ২০০১ সালে ১৭৯, ২০০২ সালে ২৯৬, ২০০৩ সালে ২০৫, ২০০৪ সালে ১৮০, ২০০৫ সালে ২৪০, ২০০৬ সালে ৪৭৯, ২০০৭ সালে ৫০৭, ২০০৮ সালে ২১১, ২০০৯ সালে ৩০৮, ২০১০ সালে ১৯৭, ২০১১ সালে ১২৫, ২০১২ সালে ২৩৮, ২০১৩ সালে ৩৫৪, ২০১৪ সালে ২০৯, ২০১৫ সালে ১৩২, ২০১৬ সালে ৮৭, ২০১৭ সালে ৯২, ২০১৮ সালে ৫১, ২০১৯ সালে ১১৫, ২০২০ সালে ৮৬, ২০২১ সালে ৯৫, ২০২২ সালে ১০২, ২০২৩ সালে ১২১ এবং ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৮২ জন নিহত হওয়ার সংবাদ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আসলেও ধারণা করছি এর চেয়ে অনেকে বেশি হতে পারে নিহতর ঘটনা। তবুও বাংলাদেশে সবসময় যে সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তখন সে সরকারই তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার লক্ষ্য থেকে প্রতিবেশি দেশ ভারতের সমর্থনের আশায় হজম করেছে সকল রকম নির্যাতন-নিষ্পেষণ-নির্মমতা। লাল জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে আসা শিক্ষার্থী-জনতার মাধ্যমে সৃষ্ট অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রতি আহবান- থামান সীমান্ত হত্যা, কঠোর পদক্ষেপ নিন।