খোরশেদ আলম,বিশেষ সংবাদদাতা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের সোনাইছা এলাকায় চাঁদাবাজির দাবিতে আ’লীগ নেতা তমিজ উদ্দিন সেলিমের মালিকানাধীন শিল্প কারখানায় হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করায় ক্ষীপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা ওই শিল্প-কারখানায় আগুন দিয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটি ইনচার্জ সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সোনাইছা এলাকায় সাসটেইনেবল অ্যাপারেলস লি. নামের শিল্প-কারখানায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ একটি চাঁদাবাজ চক্র মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ২৮ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কারখানাটিতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় কুমিল্লার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা সোমবার রাতে নিমার্ণাধীন ওই শিল্প-কারখানায় প্রবেশ করে প্রহরীদের অস্রের মুখে জিম্মি করে।
সন্ত্রাসীরা নিমার্ণ কাজে ব্যবহৃত এসকেভেটর, অটোমেটিক মিকচার মেশিন, জেনারেটর, ফাইল ড্রাইভ হেমার মেশিন ও মটরসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া ক্যামেরা ও কম্পিউটারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে রাতেই কোম্পানীটির সিকিউরিটি ইনচার্জ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোনাইচা গ্রামের বারেকের ছেলে শেখ ফরিদ(৩০), দুলালের ছেলে রায়হান(২০) ও রিয়াদ (১৮) কে গ্রেফতার করে
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কোম্পানীটির সিকিউরিটি ইনচার্জ আমাদেরকে জানায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, আগুনের সংবাদ শুনে আমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রাতেই কোম্পানীর সিকিউরিটি ইনচার্জ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।