নতুন কর্মকর্তাদের জনবান্ধব এবং সেবামুখী হতে হবে: সিনিয়র সচিব
চিফ রিপোর্টার:ঢাকা: সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫);
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন; নতুন বাংলাদেশ হবে সুশাসন, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মানবতার সমন্বয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছে। উন্নত বাংলাদেশের যাত্রার রূপান্তরের মূল চালিকা শক্তি হলো রাষ্ট্রের দক্ষ, নীতিবান এবং দায়িত্বশীল প্রশাসন। আর এই প্রশাসনের প্রাণ হলো নতুন কর্মকর্তারা, যারা নতুন চিন্তাভাবনা, উৎসাহ এবং দেশপ্রেম নিয়ে রাষ্ট্র প্রশাসনে যোগ দিচ্ছেন। অতএব, নতুন বাংলাদেশ গঠনে নতুন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। নতুন কর্মকর্তাদের জনবান্ধব এবং সেবামুখী হতে হবে। জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, তাদের সমস্যার প্রতি সহানুভূতি এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের মানসিকতা একটি সেবামুখী প্রশাসন গড়ে তুলবে। নীতিগত নেতৃত্ব এবং দলবদ্ধতা গড়ে তুলতে হবে। একজন কর্মকর্তা কেবল নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী নন, বরং তিনি পরিবর্তনের অনুঘটক। তাই নেতৃত্বের গুণাবলী, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দৃঢ়তা এবং সহকর্মীদের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ (সোমবার) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে “বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র”-এ ৭৮তম মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই প্রশিক্ষণে ১১ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সিনিয়র সচিব বলেন; জনগণ চায় সরকারি কর্মকর্তারা সৎ থাকুন। চাকরি জীবনে আসা সকল সুযোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা একজন প্রকৃত প্রজাতন্ত্রী কর্মচারীর নৈতিক বিজয়। নতুন কর্মকর্তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, সততা এবং নিষ্ঠা থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের মাধ্যমে, গত ১৭ বছরের অবিশ্বাসের জায়গা থেকে জনগণের মধ্যে আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। যদি তারা তাদের কর্তব্য পালনে সততা এবং ন্যায়বিচারের পথে অবিচল থাকে, তাহলে প্রশাসনে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বার্থান্বেষীর প্রভাবমুক্ত জনগণের সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের সততা এবং নীতিবোধের সাথে কাজ করতে হবে। সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যদি তারা দক্ষতা অর্জন করতে না পারে তবে তারা বেশিদূর যেতে পারবে না; তাদের পেশাদারিত্ব অর্জন করতে হবে। এর জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ জ্ঞান অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন; দায়িত্ব পালন কেবল অফিসের সময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি নৈতিক অঙ্গীকার। জনগণের সমস্যাগুলোকে নিজের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করুন, তাদের অধিকার রক্ষায় সৎ ও দৃঢ় হোন। সততা, দক্ষতা এবং মানবতার সাথে এই যাত্রা সফল করুন। তবেই একটি জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। চাকরিতে দুই শ্রেণীর মানুষ থাকে, একজন ভালো সৎ কর্মকর্তা এবং অন্যজন অসৎ কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত, সৎ কর্মকর্তা জয়ী হন এবং মর্যাদাপূর্ণ হন। প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আধুনিক ও দক্ষ করে তুলতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ই-গভর্নেন্স এবং ডেটা ম্যানেজমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে জনসেবা সহজলভ্য এবং সময়োপযোগী করে তুলতে হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শরিফুল ইসলাম; মো. আব্দুর রউফ এনডিসি, সায়মা ইউনুস, এনডিসি, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী এবং মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।