
গত ২১ নভেম্বর ২০২৫ খ্রি. তারিখে দেশে সংঘটিত ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত “ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা আজ সোমবার দুপুর ১:০০ ঘটিকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম।
উক্ত সেমিনারে জনাব আদিলুর রহমান খান, মাননীয় উপদেষ্টা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়; জনাব সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মাননীয় উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম, সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউটিলিটি ও জরুরী সেবাপ্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি, পুরান ঢাকার প্রতিনিধি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্বিবিদ্যালয়ের ভুমিকম্প ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও গবেষক, রিহ্যাব প্রতিনিধি, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশর প্রতিনিধি, বিভিন্ন সোসাইটির প্রতিনিধিসহ রাজউকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বুয়েট-এর ভূমিকম্প ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. তানভীর মঞ্জুর, অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকম্প ও দুর্যোগ প্রস্তুতির বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভূমিকম্প-পরবর্তী জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি তিনি রাজউককে এলাকা ভিত্তিক ভবনগুলোর ঝুঁকি নিরূপণে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করেন।
মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে জনগণের প্রস্তুতির পাশাপাশি সরকারি সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন, মাঠপর্যায়ের তদারকি জোরদার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য রাজউককে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি ও রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “একটি নিরাপদ ও আধুনিক নগর গড়ে তুলতে সরকারি প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী, ভবন মালিক, ডেভেলপারসহ সকল অংশীজনের সম্মিলিত সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। ভূমিকম্প সচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন”। তিনি ভূমিকম্পসহ সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন।









