ওবায়দুর রহমান, স্টাফ রিপোর্ট:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মোটর সাইকেল কিনতে বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলার পৌর সদর চন্ডীদাসদী গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত নাম শিমলা বেগম, সে উপজেলার বড় হামিরদী গ্রামের আনোয়ার মাতুব্বরের মেয়ে।
শিমলার স্বামী শাহিন মোল্লার বাড়ি ভাঙ্গা পৌর সদরের চন্ডীদাসদি গ্রামে। সোমবার রাতে পুলিশ ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিমলার খালা ফাহিমা বেগম জানান, শিমলা ও তার এক প্রতিবন্ধী ভাইকে রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করে ঢাকায় চলে যায়। অভাবের সংসার
ওর মা (বিউটি বেগম) সংসার ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওদেরকে আমার কাছে রেখে সৌদি আরব চলে যায়। আমি তাদের লালন পালন করে দুই বছর আগে বিবাহ দেই । ওদের সংসারে এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে শিমলার মা সৌদি থেকে তার স্বামী শাহিন মোল্লার কাছে
টাকা পাঠাতো। ঐ টাকা দিয়ে শাহীন মোটর সাইকেল কিনতে চায়। এতে শিমলা বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে । এঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে শাহীন তার পরিবারের লোকজন মিলে শিমলাকে মেরে ফেলায়।
তবে প্রতিবেশীদের দাবি গতকাল শিমলায় সন্তান কে মারধর করে শিমলা। এ নিয়ে বউ শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। অভিমান করে সে নিজের উরনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীতে সাপল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে শিমলা কে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, গত কাল গভীর রাতে খবর পেয়ে পুলিশ শিমলার লাশ ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উদ্ধার করে । মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।