সু্ন্দরগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট সরকারি অফিসটি এখন পেশকার কবীরের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার ও ভারপ্রাপ্ত পেশকার এহছানুল কবীর যোগদানের পর হতে অফিসটি দালালের দখলে চলে যায়। ঐ সকল দালালের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। পর্চা প্রতি অর্থ আদায় করা হয় ৫/৬ শত টাকা। শুধু তাই নয়, এহছানুল কবীর সুকৌশলে মৌজা প্রিন্টে পাঠানোর আগে, ঐ সকল মৌজার সকল কাগজপত্রের ফটোকপি নিজ জিম্মায় রেখে রংপুর অফিসের নাম ভেঙ্গে অর্থ বানিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন। এহছানুল কবীরের নেতৃত্বে অত্র প্রতিষ্ঠানে দালাল রয়েছে প্রায় ২০ জন।
এদের কাজ সারাদিন সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে দাড়িয়ে জমির মালিকদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। ঐ সকল দালালদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা সালামি নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বানিজ্য চলমান রাখতে, এহছানুল কবীর একটি নতুন গেম খেলেছেন, সাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের উন্নয়নের কান্ডারী মাহমুদ আল হাসানের কাছে পেশকার
নিজেই দালালদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলার বাদীহন। বাদী এহছানুল কবীর, আসামিদের বাড়িতে বাজার পাঠাতে থাকেন, কিছুদিন পর তিনি নিজেই আসামিদের জামিনে বাহির করেন। সেই সকল আসামিদের মাধ্যমে অবৈধ অর্থের বানিজ্য করে চলেছেন বাদী ভারপ্রাপ্ত পেসকার এহসানুল হক কবির। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ছদ্মবেশে সাংবাদিক আব্দুল আজিম একটি হাতে লেখা পর্চা নিতে গেলে তাকেও গুনতে হয়েছে ৬ শত টাকা। এব্যাপারে দুই পদে দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার ও ভারপ্রাপ্ত পেশকারের সাথে কথা হলে, তিনি জানান, আমার নেতৃত্বে অফিসে কোনো দালাল
নেই। আমি দালালদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছি। এদিকে সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল করিম অফিস না করেই, অফিসের দুই পদে দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার ও ভারপ্রাপ্ত পেশকার এহছানুল কবীরের মাধ্যমে এ বানিজ্য চলমান রেখেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল করিমের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, দালালদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। তবে দালালদের টাকার হিশ্যা তার যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।