নিজস্ব প্রতিবেদক: সত্যকন্ঠ
কাঞ্চনজঙ্ঘা,হিমালয় পর্বতমালার পর্বত শৃঙ্গ। মাউন্ট এভারেস্ট ও কে২ এর পরে পৃথিবীর তৃতীয় উচচতম পর্বত শৃঙ্গ।যার উচ্চতা ৮৫৮৬মিটার অর্থাৎ ২৮১৬৯ ফুট।
এটি ভারতের সিকিম রাজ্যের সঙ্গে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত অবস্থিত। হিমালাই পর্বতের এই অংশটিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমাল বলা হয়। এর পশ্চিমে তামূর নদী, উত্তরের লহনাক চু নদী এবং জংসং ,লা শৃঙ্গ এবং পশ্চিমে তিস্তা নদী অবস্থিত।
কাঞ্চনজঙ্ঘা মাউন্ট এভারেস্টের ১২৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ- পূর্বদিকে অবস্থিত। এটা হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ।এর পাঁচটি মূল শৃঙ্গের মধ্যে তিনটা মুখ্য, কেন্দ্রীয় এবং দক্ষিণ-ভারতের উত্তর সিক্কিম জেলায় এবং নেপাল সীমান্ত অবস্থিত।বাকি দুটি শৃঙ্গ নেপালের তাপ্লেল জু়ং জেলায় অবস্থিত।
কাঞ্চনজঙ্ঘা- মুখ্য ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, এবং একদম পূর্ব দিকের পর্বতের মধ্যে ৮ হাজার মিটার অর্থাৎ ২৬ হাজার ফুটের অধিক উচ্চ।পাঁচটি পর্বত চূড়ার কারণে একে “তুষারের পাঁচটি ঐশ্বর্য”বলা হয় এবং সিকিম ও দার্জিলিং এর স্থানীয় লোকেরা একে পবিত্র মনে করে পূজা করে।
১৮৫২ সালের আগে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে ধারণা করা হতো কিন্তু ১৮৪৯ সালে ভারতের বৃহত্তর ত্রিকনোমিক জরিপে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় পিক XV বলে পরিচিত মাউন্ট এভারেস্ট হচ্ছে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ।
আরো কিছু পুন:র্নিরীক্ষণ করার পর ১৮৫৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় যে কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় উষ্ণতম শৃঙ্গ।
১৮৫৫ সালে ২৫ মে মাসে ব্রিটিশ পর্বতরোহী দলের সদস্য জোড়ে ব্রাউন এবং জর্জ ব্রান্ড কাঞ্চনজঙ্ঘা আহরণ করেন।তাদেরকে সিকিমের ধর্মগুরুর বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছিল এবং এর কোন মর্যাদা হানি করবেনা চুক্তিবদ্ধ করে পর্বতরোহন করেছিলেন।এই দলের অন্যান্য সদস্য হলো জন এঞ্জেলো জেকসন এবং টম মেকিনন।১৯৮৬ সালে ১১ জানুয়ারি, জেরজি কুকুচজকা কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রথম শীতকালীন আরোহন করে।
এটির পাঁচ চুড়া আছে তাদের চারটির উচ্চতা ৮৪৫০ মিটারের উপরে। এ ধন দৌলত ঐশ্বর্যের ৫ ভান্ডারে প্রতিনিধিত্ব করে, স্বর্ণ, রুপা, রত্ন, শস্য এবং পবিত্র পুস্তক।
চলবে———-