পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় গভীর রাতে বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের তোপের মুখে ৯৯৯ এ পুলিশকে ফোন দিয়ে নিজেরাই ফেসে গেলেন। রাতে ফাঁকা জমিতে অবৈধভাবে ঘর তোলা এবং ভীতি সৃষ্টির অভিযোগে মহিপুর থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানান, ৯৯৯ এ গভীর রাতে হামলার অভিযোগ এনে কহিনুর বেগম গং সাহায্য চায়। তাৎক্ষণিক মহিপুর থানার এস আই জাহাঙ্গীর এবং এস আই রাশেল’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখতে পান ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে অভিযোগকারীরা নিজেরাই লোকজন নিয়ে ঘর তুলেছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশের উপস্থিতে পরিবেশ শান্ত হয়।
বিরোধীয় জমিতে গভীর রাতে লোকজন নিয়ে ঘর নির্মাণ করে এলাকায় ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে কবির, আলতাফসহ ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার সন্ধায় আবার ছেড়ে দেয়া হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে কুয়াকাটা পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের মীরা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানান।
কুয়াকাটা পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আসমা বেগম (৪৫) বলেন, আমার ফুফাতো ভাই মোঃ আলমগীরসহ চার ওয়ারিশদের কাছ থেকে ২০ শতাংশ জমি দলিল মুলে ক্রয় করি। ক্রয়কৃত ওই জমি ভুলবসত আমার ফুফু কহিনুর বেগমের নামে বিএস রেকর্ড হয়।
বিএস রেকর্ডের বলে রাতের আধাঁরে তার জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করে। আসমা বেগম আরো বলেন, তার ফুফু কহিনুর বেগমের ওয়ারিশী জমিতে বাড়ি ঘর তুলে ভোগদখল করলেও অন্যায় ভাবে তার জমি দখল নেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কহিনুর বেগম বলেন, এখানে আগে তার ঘর ছিল। এই জমি ওয়ারিশ সুত্রে তার নামে বিএস রেকর্ড হয়েছে। তিনি কারো জমি দখল করেননি।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম জানান, কহিনুর বেগম গংরা বিরোধীয় জমিতে গভীর রাতে আইনবহির্ভূত ভাবে ঘর তুলে প্রতিপক্ষের তোপের মুখে তারাই আবার ৯৯৯ এ ফোন দেয়। অহেতুক পুলিশকে হয়রানি করা হয়।
এঘটনায় রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজন থানায় নিয়ে আসা হয়।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি বলে জানান তিনি ।