নিজস্ব প্রতিবেদক, সত্যকন্ঠ
সিলেটের খাসিয়া-জয়ন্ত পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি পর্যটন স্থল।বাংলাদেশের
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি পর্যটন কেন্দ্র। সিলেট শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেসে খাসিয়া-জয়ন্ত পাহাড়ের পদদেশে অবস্থিত এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মেলন বলে এই এলাকায় বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন হিসেবে পরিচিত। জাফলং বিভিন্ন খনিজ পাথরের জন্য বিখ্যাত বলে শ্রমজীবী মানুষেরা পাথরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে সেই বহু বছর যাবত।
বাংলাদেশের সিলেট সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত এর অপর পাশে ভারতের ভাউকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে নদী এবং যাত্রা দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মূলত বিয়াইন নদীর অববাহিকায় অবস্থিত ।
বাংলাদেশের ৪ ধরনের কঠিন শিলা পাওয়া যায়। তার মধ্যে পাওয়া যায় কঠিন শিলার নুড়ি।এছাড়া বর্ষাকালে ভারতের সীমান্তবর্তী শিলা সেটা মালভূমি পার্ক গুলোতে প্রবাল বৃষ্টি হলে ওইসব পাহাড় এর পাথর ছাড়াও পাওয়া গেছে সাদামাটি বা চিনামাটি।
এই এলাকায় যেমন সাধারণ বাঙালির আবার বসবাস করেন তেমনি বাস করেন উপজাতিরাও।যাত্রাপালের বল্লা, সংগ্রামপুঞ্জি, নকশিয়া পুঞ্জি জামা পঞ্জি ও প্রতাপপুর জুড়ে রয়েছে পাঁচটি খাসিয়া পঞ্জি।
জাফলং এর বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়ালে ভারত সীমান্ত অভ্যন্তরে থাকা বিভিন্ন শ্রেণীর নদ-নদী দেখা দেয় এসব নদী থেকে নেমে আসা ঝর্ণা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
নারিকেল আর সুপারির গাছকে কেন্দ্র করে বসবাস করে প্রচুর বাঁদর এছাড়াও দাফনাম বাজার কিংবা জাফলং জমিদার বাড়িতে আবাস রয়েছে বাদুর যদিও খাদ্য সংকট আর মানুষের উৎপাতে কিংবা অবাধ নিধনে ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও।
১৯৮০ দশকে সিলেটের সাথে জাফলং এর পঞ্চান্ন কিলোমিটার সড়ক তৈরি হওয়ার মাধ্যমে দেশের অনন্য দেশ অঞ্চল থেকে এই এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সড়কপথে সিলেট সদর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। জাফলং জিরো পয়েন্টে রয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতের সাথে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়।বিশেষ করে ভারত থেকে কয়লা আমদানি করা হয।