সাদিকুল ইসলাম, নীলফামারী:
“দয়া নয় কর্ম চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই” এই স্লোগান কে সামনে নীলফামারীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) সকালে নীলফামারী শহরের চৌরুংগী মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার
পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখা এর আয়োজন করে। এতে কর্মকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, বেকারত্ব দূরীকরণ, চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন, চাকরির বয়সসীমা দূরীকরণ ইত্যাদি ৭ দফা দাবী তুলে ধরা হয়।
এই মানববন্ধনে যুব অধিকার পরিষদ নীলফামারী জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাকিল চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতক পরে এসে আজ বাংলাদেশে বেকারত্বের মহামারী দেখতে হচ্ছে। আঠারো কোটি মানুষের তিন কোটি বেকার। বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করেও যুবকেরা বেকারত্বের যন্ত্রনায় আত্মহত্যা করছে।
অথচ এদেশের টাকা দিয়ে গড়ে উঠছে বেগমপাড়া, সিঙ্গাপুর সহ নানা দেশের সম্পদের পাহাড়। শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের প্রথম দশ বছরেই প্রচার ৭ লক্ষ কোটি টাকা, এই টাকা দেশে থাকলে আমার বেকার ভাইদের কাজে লাগতো। তাই আজকের এই বেকার সমাজের মুক্তি তথা দেশের মুক্তির জন্য ৭ দফা বাস্তবায়ন করতেই হবে, ভিন্ন উপায় নাই।”
মানব বন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি উদার হোসাইন , সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন এবং দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা। সভাপতিত্ব করেন জেলা যুব অধিকার পরিষদেরর সহ সভাপতি হামিদুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
এগুলো হলো, কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে, প্রতিবছর অন্তত ২৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। আবেদন ফি, ঘুস, প্রভাবশালীর রেফারেন্স, জামানত, বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে ও সরকারি বেসরকারি চাকরির সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।
ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদন উপযোগী জনশক্তি তৈরি করতে হবে। শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান করতে হবে,কর্ম ও ঋণ আওতার বাইরের সকলের জন্য বেকার ভাতা দিতে হবে।
শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের যোগ্যতা অনুসারে শতভাগ চাকরি নিশ্চিত করতে হবে, অশিক্ষিত অসহায় প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য উপযুক্ত বরাদ্দ দিতে হবে।
জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বিদেশে প্রেরণ, বিদেশে প্রেরণের সকল স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
শেষের দিকে একদল হেলমেট বাহিনী প্রোগ্রামে হামলা করে ব্যানার ফেষ্টুন ইত্যাদি কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং নেতা কর্মীদের উপর চড়াও হয়। এমন অমানবিক ও অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের জন্য যুব অধিকার পরিষদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।