বাঁশখালীতে ক্ষেতখোলা নিয়ে পানি সংকটে কৃষক পরিবার
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব পাহাড়ি এলাকায় ক্ষেতখোলা নিয়ে পানির সংকটে পড়েছে বেশ কিছু কৃষক পরিবার।উপজেলার সাধনপুর কালীপুর সীমান্তবর্তী পূর্ব পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সব কৃষকই পাহাড়ি ছড়ার পানির ওপর নির্ভরশীল। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির ফলে এসব পাহাড়ি ছড়া একেবারেই শুকিয়ে গেছে।কৃষকদের একমাত্র ভরসা ওইসব ছড়া শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ওই এলাকার কৃষকদের চাষকৃত প্রায় সকল ফসলি জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে।এতে আলু ক্ষেতসহ অধিকাংশ ক্ষেতখোলা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহমদ নামে এক কৃষক ২ একর এলাকাজুড়ে চাষকৃত আলু খেতের সম্পুর্ণ গাছ একেবারেই মারা গেছে। কৃষক আহমদ জানান, বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে হাজার হাজার টাকা ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলু খেত করেছি,কিন্তু সময় মত খেতে পানি দিতে না পারায় সম্পুর্ণ আলু খেত শুকিয়ে মারা গেছে,ফসলের এমন দশায় এখন ঋণের টাকা পরিশোধ কিভাবে করবো আর পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।একই এলাকায় ২০ একর জমি জুড়ে মৌসুমের আগাম সবজির চাষাবাদ করেন কৃষক খোকন,আলি আকবর, বশর, আজিজ আহমদ,ইউচুফের স্ত্রী, ভোঁতা মিয়া, জাহানারা রা কেউ আলু, কেউ কাঁচা মরিচ কেউ ,শিম,কেউ লাউ, কেউ তিত করলা চাষ করলেও পানি সংকট যেনো তাদের সব আশা ধ্বংস হয়ে গেছে।পানির অভাবে গুনতে হচ্ছে লোকসান। ফসল উৎপাদনে ব্যাহতের কারণে স্থানীয় ব্যাংক ও এনজিওগুলো তাদের ঋণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন বলে জানান।তাদের একটা-ই দাবি চাষকৃত জমি এলাকায় যতদ্রুত সম্ভব সরকারি ভাবে একটি নলকূপ বসানো হয়।এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উৎপল বলেন,বিষয়টি জানতে পেরেছি আমি বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক স্যারের সাথে কথা বলে,কৃষকদের সুবিধার্থে জায়গা নির্ধারণ করে নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।