বেনাপোলে তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা খাতুন হত্যা-
তিনদিন পরে কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার : আটক-১
তামিম হোসেন সবুজ” বেনাপোল (যশোর):বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর কবরস্থানের মধ্যে থেকে তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা খাতুন (২৫) এর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে যশোর জেলা ডিবি ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রেশমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রেশমা খাতুন বেনাপোল কাগজপুকুর রাজবাড়ী গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের সন্তান।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবত বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা (হিজরা) নিখোঁজ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছিল। সোমবার সকালে কবরস্থানের ভিতর নতুন মাটি তোলা দেখে সন্দেহ হলে বেনাপোল পোর্ট থানাকে বিষয়টি অবগত করেন এলাকাবাসী।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশের সহায়তায় যশোর ডিবি পুলিশের টিম কবরস্থানের মাটি খুঁড়ে রেশমা খাতুনের অর্ধগলিত পচা লাশ বের করেন।
এর আগে হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফারুখ হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রেশমার কাছে পৌছায় পুলিশ টিম। আটক ফারুখ হোসেন একই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
ফারুখ হোসেন পুলিশকে জানায়, কাগজপুকুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের লাউক্ষেতের মধ্যে হাত পা বেঁধে গলায় চাকু দিয়ে জবাই করা হয় রেশমাকে। এরপর কবরস্থানের উল্লিখিত স্থানে পুঁতে রাখা হয়।
রেশমা হত্যাকান্ডে ফারুক সহ আরো ৫-৬ জন ব্যক্তি এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। হত্যার পরে রেশমার কিছু কাপড়, দুটি মোবাইল সেট সহ বিভিন্ন আলামত ভিন্ন ভিন্ন স্থানে রেখে নষ্ট করার চেষ্টা করে হত্যাকারীরা।
পুলিশ রেশমার বাড়ি তল্লাশি সহ সকল আলামত ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার সাথে জড়িত আর কোন আসামিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য রেশমার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।