সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এদিকে, সার-কীটনাশকের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ, ভালো দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে, কুয়াশা থেকে আলু ক্ষেত রক্ষায় নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে প্রয়োগের পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের।
সরেজমিন সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দুই মাস আগে লাগানো আলুর বীজ থেকে এখন ক্ষেত ছেয়ে গেছে সবুজ পাতায়। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায়ও এতোদিন আলু ক্ষেত ছিলো রোগবালাই মুক্ত। কিন্তু আলু তুলতে সময় বাকি আছে আর
একমাস। তখনই লেইট ব্লাইট বা মড়ক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আলু গাছ। এতে কৃষকের চোখেমুখে শঙ্কার ছাপ। এজন্য ক্ষেত সতেজ রাখতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ সাত দিন আবার কেউ পাঁচদিন পরপর নিয়মিত ওষুধ স্প্রে অব্যাহত রেখেছেন আলু ক্ষেতে।
সদর উপজেলার দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের আলু চাষি আব্দুল শহিদ বলেন, গত বছর ৪ একর জমিতে আলুর আবাদ করে ভালো দাম পাইনি। এ বছর আবাদ করেছি আড়াই একর জমিতে। আলু তোলার আর মাত্র একমাস বাকি আছে। যদি কুয়াশায় আলু ক্ষেত নষ্ট না হয় তাহলে
ফলন ভালো হবে। আলু তোলার পর সরকার যদি দাম নিয়ন্ত্রণ করে এবং আলু বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দেয় তাহলে লাভবান হওয়া যাবে।একই গ্রামের কৃষক মতিন আহমেদ বলেন, সার-কীটনাশক এমনকি দিন মজুরেরও দাম বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ গত বছরের
তুলনায় অনেক বেড়েছে। গত বছর আলু ৭-৮ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এ বছর দাম কম থাকলে আবাদ ছেড়ে দিব। ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপজেলা কৃষি অফিসার এ এফ এম শাহাবুদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের দেওয়া পরামর্শে নিয়মিত
ম্যানকোজেব নামক ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করলে কুয়াশা থেকে আলু ক্ষেত রক্ষা করা সম্ভব হবে। আমরা সে পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরা যদি সঠিক নিয়মে স্প্রে করা অব্যাহত রাখে তাহলে ফলন ভালো হবে। কৃষকরাও লাভবান হবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় চারশ
৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন উচ্চ ফলন জাতের আগাম আলুর চাষাবাদ হয়েছে। বারি-১, বারি-৪, বারি-৭, বারি-৮সহ উন্নত জাতের আলু চাষ হয়েছে ৬৫ ভাগ জমিতে আর ৩৫ ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে দেশি জাতের আলু।