রংপুরে রোগী পরিবহনের আড়ালে মাদক ব্যবসা করতো তারা
মাটি মামুন রংপুর।
রংপুরে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দেড়গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সানি (৩৫) এবং পাবনার সাথিয়া উপজেলার আত্রাইশুখা গোপালপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে রাকিব শেখ (২১)। অভিযানের সময় মোতাহার হোসেন নামের আরেকজন পালিয়ে যান।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) উপ-কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে নগরীর বুড়িরহাট রোডে উত্তর কোবারু গ্রামের আমেশ্বাইর মোড়ে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ।
এসময় কালিয়াকৈর পৌরসভা গাজীপুর লেখা স্টিকার সাঁটানো সন্দেহভাজন একটি অ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তল্লাশি অভিযানের সময় একজন পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করে পুলিশ।
উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পলাতক মোতাহার হোসেনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক পরিবহন করে আসছে। মূলত চক্রটি অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ পরিবহনের আড়ালে মাদক ব্যবসা করে।
এ ঘটনায় পরশুরাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পরশুরাম জোন) মো. আল ইমরান হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) সুব্রত ব্যানার্জি, পরশুরাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ