ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব,ভোলায় অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ
সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভোলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। সকাল থেকে ভোলায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরী হাট, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, মির্জাকালু- আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, নাজিরপুর-কালাইয়া, ভেলুমিয়া-ধনিয়া রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় রাতে অধিক বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভোলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। টানা বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা নদী উত্তাল রয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে প্রশাসন। ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপিকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের ১ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া মাছ ধরার ট্রলারে অনেক জেলে গভীর সাগরে থাকায় চরফ্যাশন, মনপুরা ও দৌলতখান উপজেলার জেলে পরিবারগুলোর মাঝে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তবে ইতোমধ্যে শত শত মাছ ধরার ট্রলার ঢালচর, রামনেওয়াজ ও সামরাজ মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।