নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে এই প্রথমবারের মতো ভীড়ল ওপিসি ক্লিংকার ও লাইমস্টোনবাহী মাদার ভেসেল। মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এমভি মেঘনা হারমনি’ নামের জাহাজটিতে ৫৩ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন ওপিসি ক্লিংকার এবং ১০ হাজার ১০০ মেট্রিকটন লাইমস্টোন নিয়ে নোঙর করল।
আউটারে ১৬ হাজার মেট্রিক টন কার্গো লাইটারেজ করার পর ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন কার্গো নিয়ে মাদারভ্যাসেলটি বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে বন্দরের ইনার এ্যাংকোরেজে পৌঁছায়। এরআগে জাহাজটি গত ০৯ ডিসেম্বর ভোরে পায়রা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে আসে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ভিড়েছে এলপিজিবাহী (তরল গ্যাস) মাদার ভেসেল। তিন হাজার তিনশ’ মেট্রিকটন তরল গ্যাসবাহী এই জাহাজটির নাম ‘এমভি বসুন্ধরা এলপিজি চাতকী’।
পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ৪৩ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন ওপিসি ক্লিংকার এবং ১০ হাজার ১০০ মেট্রিকটন লাইমস্টোন এসেছে। গতকাল রাতে আউটারে ১৬ হাজার মেট্রিক টন কার্গো লাইটারেজ করার পর ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক কার্গো নিয়ে ইনারে পৌঁছায়।
পায়রা বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি ভিয়েতনাম থেকে যাত্রা শুরু করে।
শিপ টু শিপ (এসটিএস) অপারেশনের মাধ্যমে গভীরতম নদী পথ কাজল-তেতুলিয়া ব্যাবহার করে মেঘনা নদী হয়ে পায়রা বন্দরে ঘাটে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, কম খরচে, দ্রুততম সময়ে খালাস করা, কম দূরত্ব, নদীর সর্বোচ্চ পানির গভীরতা ও লাইটার পরিবহনে নিরাপত্তা মান সম্মত সেবার কারনে দিন দিন এই বন্দরে ভীড় বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের নিজস্ব জলযানযোগে বন্দরের ইনার এ্যাংকোরেজে জাহাজটি পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন, পায়রা বন্দরকে স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রীণ ফিল্ড পোর্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের উন্নয়নে মূলত বন্দরটি কাজ শুরু করেছিল। গত বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছিল। এখন চলছে মেইনটেইন্সের কাজ।
মেঘনা গ্রুপসহ দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানি এই বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করছে। আশা করি আগামিতে দেশের আরো বড় বড় কম্পানি ব্যবহার করবে এই বন্দর।
তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহে আরোও একটি মেঘনা গ্রুপের মাদার ভেসেল পায়রা বন্দরে আগমন করবে আশা করছি।