বাগমারায় কোয়ালীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে তথ্য গোপন করে কমিটি গঠনের অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় কোয়ালীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে তথ্য গোপন করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলটি নরদাশ ইউনিয়নের কোয়ালীপাড়া গ্রামে অবস্থিত।
লিখিত অভিযোগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এডহক কমিটির পর নিয়ম মাফিক প্রকাশ্য নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা।
কিন্তু শ্রেণিকক্ষে কোনরূপ নোটিশ, মাইকিং, এমন কী কোন রকম প্রচার-প্রচারণা না চালিয়ে তথ্য গোপন করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জব্বার। গোপনে ইয়াকুব আলীকে উক্ত স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত করেন। স্থানীয় আলতাফ হোসেন,
শহিদুল ইসলাম, আবু বাক্কার গাইনের ভাষ্য, বিতর্কিত কমিটির সভাপতির যোগসাজসে পকেট কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জব্বার । এবং পকেট কমিটি গোপন রাখেন।
প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে, শিক্ষাবোর্ড গত ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ইয়াকুব আলীকে কোয়ালীপাড়া স্কুলের সভাপতি হিসাবে দশ সদস্যের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জমিদাতা,
অভিভাবক, বিদ্যোৎসাহী, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়েম, ৯ম শ্রেণির নাঈম, ৭ম শ্রেণির জিহাদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন,কমিটি গঠন বিষয়ে আমাদের শ্রেণি কক্ষে কোন নোটিশ বা মৌখিক ভাবে জানানো হয়নি। শিক্ষার্থী সায়েম আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১৮ই জানুয়ারি হেড স্যার, আমাদের জানান, আগামী রবিবার কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে দুপুরে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
(বিতর্কিত) নতুন কমিটির অভিভাবক সদস্য চাঁন মিয়া জানিয়েছেন , নতুন কমিটি গঠনে আমি নিজেও জানি না। আবেদন ফরম উত্তোলন, জমা বা কোথাও স্বাক্ষর করি নাই। প্রবিধানমালা-২০০৯ এর ধারা-উপধারা মোতাবেক কমিটি অনুমোদন করা হলেও ,৩৮ বিধি মোতাবেক সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অমান্য করলে বোর্ড যে, কোন সময় কমিটি ভেঙ্গে দেয়াসহ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম সহ উক্ত কমিটি বাতিল চেয়ে চলতি বছর গত ১৪ই জানুয়ারি সকল অভিভাবকদের পক্ষে দাতা সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নতুন কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী জানান, নিয়ম মেনে কমিটি করা হয়েছে।
মুঠোফোনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারের নিকট প্রকাশ্যে কমিটি হয়েছে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকাশ্যেই করা হয়েছে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তো জানে না ? এমন প্রশ্ন করলে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, কেই হয়তো তাদের প্রভাবিত করেছে।
বাগমারা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মুকদাদির আহম্মদ বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। অভিযোগ হলে বোর্ড নিজে বা অন্যদের দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।