রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারায় মাছ লুটের ঘটনায় অবশেষে মামলা গ্রহণ করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদের সাথে মুগাইপাড়া গ্রামের মাসুদ রানার পুকুর ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সরদার জান মোহাম্মাদ উপজেলার সারন্দী গ্রামের মৃত জানিকুল্লার ছেলে।
সূত্র জানায়, মাসুদ রানা অপর শরিক মারুফ হাসানের নিকট ৩১ অক্টোম্বর ২০২১ সালে পুকুরটির লিজ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে মারুফ হাসানের সাথে মাসুদ রানার পারিবারিক কলহের জেরে মারুফ, ১২ নভেম্বর ২০২১ সালে সরদার জান মোহাম্মদকে নিয়মবর্হিভূত সাবলিজ প্রদান করেন।
মাসুদ রানার আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত ১৪ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ বিবাদমান পুকুরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১০৭ এবং ১৪৪ ধারা অমান্য করে গত ১৬ ডিসেম্বর/২২ সরদার জান মোহাম্মাদ লোকজন নিয়ে মুগাইপাড়াস্থ পুকুরে মাছ ধরেন।
ভিকটিম মাসুদ রানা দাবী করেন, ঘটনার দিন বাগমারা থানা এবং হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেও কোন ফল পাননি।
আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত অভিযোগটি বাগমারা থানা পুলিশকে নিয়মিত মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করতে নির্দেশনা দেন। অবশেষে চলতি মাসের ১লা জানুয়ারি বাগমারা থানা পুলিশ মাছ লুটের ঘটনায় মামলা রেকর্ড করে।
মুগাইপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম কবিরাজের ছেলে মাস্টার মাসুদ রানা বাদী হয়ে সরদার জান মোহাম্মাদকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ সহ (অজ্ঞাত ৪০/৪৫ জনের নামে ) মামলা দায়ের করেছেন।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এবং মামলার আইও তোহিদুর রহমান মুঠোফোনে মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।