আত্ন মানবতার সেবায় নিজেকে উৎস্বর্গ করেছেন পলাশবাড়ীর তরুন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রুবেল
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য’ একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না! ভুপেন হাজািকার লেখা ও জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পি মান্না দের কন্ঠে গাওয়া গানটি অনেকের কন্ঠে শোনা গেলেও আসলে বাস্তবে আমরা কে কতটা মানুষের জন্য মানবসেবায় কাজ
করতে পেরেছি এমন প্রশ্ন থেকেই যায়??গায়কের কণ্ঠে গাওয়া এই গানটির বাস্তব রুপ দিয়েছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যান্ত পল্লী পবনাপুর ইউপির বালাবামুনিয়া গ্রামের সন্তান, আসাদুজ্জামান রুবেল।
বাবা মিলন শেখ পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী মা আছমা বেগম গৃহীনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে আসাদুজ্জামান রুবেল বড়।
ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ৎেকে এইচ এস সি পাশ করে জরিয়ে পরেন সাংবাদিকতা পেশায়।ছোট বেলা থেকেই রুবেল ছিলেন নম্র ভদ্র বিনয়ী একজন মানুষ।পেশাগত কাজের ফাকে একটু সময় পেলেই তিনি আত্নমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটান করোনা মহামারীর সময় তিনি গণমাধ্যমে মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন দুস্থ অসহায় মানুষের কাছে।
তার মানবতা সততা ও ন্যায় পরায়নতা দেখে দেশ বিদেশসহ বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন,প্রবাসী অনেকেই আর্থিক সহযোগীতায় হাত বাড়িয়ে রুবেল কে সাহস ও প্রেরনা যোগাতে থাকে।
তরুণ এ সাংবাদিক প্রতিনিয়ত ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা সহ অসহায় মানুষকে খাদ্য,চিকিৎসা ও বিনা মূল্যে রক্তদান সেবা প্রদান করে আসছেন।
দিন নেই, রাত নেই, যখনি তার কাছে কোন ফোন আসে সেখানেই হাজির হচ্ছেন,সাধ্যমত সাহায্য করছেন সেই সব অসহায় মানুষদের।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়,এ পর্যন্ত তিনি ৪৩ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার,৫টি ঘর বাড়ি সংস্কার,১০০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা,৫ টি পরিবারকে টিউবওয়েল,১০টি কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা,২০টি পরিবারকে চিকিৎসা সেবা,হাফেজ ছাত্রদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরনসহ অনেক মানবিক কাজ করেছেন বলে
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রুবেল জানান,আমার এ কাজ করতে দেশ-বিদেশ থেকে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন তাদের প্রতি আমি চির-কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তাদের সহযোগীতা যেন অব্যাহত থাকে।তিনি আরো জানিয়েছেন,এই মহৎ কাজে সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠান গুলো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে মানুষ আরো বেশি বেশি উপকৃত হতো।
তিনি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মানবতার সেবায় নিজেকে উৎস্বর্গ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।