CLP ইস্যুকারি ১৯ সংস্থার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
আলী আহসান রুবি
ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
আজ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে CLP ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ক একটি সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় Bangladesh Single Window (BSW) System ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। BSW মূলত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম; এটি ব্যবহার করে একজন আমদানকারক- রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুকারী ১৯ টি সংস্থার মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করে সংস্থার মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে CLP সংগ্রহ করতে পারবেন।
আজকের সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৯টি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় জানানো হয়, এনবিআর ঘোষিত ১৯টি সংস্থার মধ্যে ০৭টি সংস্থা ইতিমধ্যে
তাদের অংশের কার্যক্রম পূর্ণ বাস্তবায়ন করেছে, এবং ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখের পর BSW ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর কোন CLP ইস্যু করবে না। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত এনবিআর -এর এই কার্যক্রমকে একটি Whole of the Government Priority হিসেবে বর্ণনা করেন, নিম্নলিখিত বিষয়সমূহে গুরুত্বারোপ করেন:
১। অনুকূল ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে (Ease of Doing Business) সরকারের ভেতরে আন্ত:সংস্থা সমন্বয়ের জন্য সরকার কাজ এবং ব্যবসার উন্নত পরিবেশ ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য Bangladesh Single Window কর্মসূচীকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচীর সাফল্য বা ব্যর্থতা সরকারের সমগ্র সংস্কার কর্মসূচীর উপর অত্যন্ত ব্যাপক ।
২। আমরা সংস্কারকে মূলত বিনিয়োগ, ব্যবসা, অর্থনীতির পরবর্তী ধাপে পৌছানোর চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে চাই। অর্থবহ সংস্কারের পরই আমরা নাগরিক সেবার মানে অর্থবহ পরিবর্তন আশা করতে পারি।
3। National Single Window প্রকল্পটি প্রায় ৮ বছর আগে হাতে নেয়া হয়েছিল। এই সময়ে বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে আমূল বদলে গেছে, কানেক্টিভিটির সংজ্ঞাই একরকম পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এখনই একটি National Window
System কার্যকর নেই এটি অত্যন্ত দু:খজনক এবং বেশ কিছুটা লজ্জাজনক। বর্তমান বিশ্বে ”সময়” যে সবচেয়ে দামী সম্পদ (Resource), এ বিষয়ে আমাদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
৪। শুধু ডিজিটালাইজেশন নয়, আমাদের একটি ব্যাপকভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। যার ০৩টি মূল নিয়ামক থাকবে:
ক) প্রথমত, আমাদের সেবা দেয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করতে হবে, নিজেদের শাসক হিসেবে না ভেবে সেবক হিসেবে ভাবতে হবে।
খ) সময়ের মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। কাজ শুরু করাটাই যথেষ্ট নয়, কাজের সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
গ) আমাদের একধরণের লজ্জাবোধের জায়গা তৈরি করতে হবে। সেবা প্রার্থী নাগরিকগণকে সঠিক সময়ে, সঠিক সময়ে সেবা দিতে না পারার লজ্জাবোধ আমাদের থাকতে হবে।
০৫। পরিশেষে, সংস্কার অর্থ শুধু সরকার পরিবর্তন বা সরকারের কার্যক্রম নয়, সামগ্রিক অর্থে সংস্কার জবাবদিহিতা ও সেবার মানকে উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি করবে, আমি এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।