সিরাজুল ইসলাম রতন, রংপুরে গঙ্গাচরা থেকেঃ
২১ জানুয়ারী রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলা সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত। যোগাযোগ ব্যাবস্থা অত্যান্ত লাজুক। পাশেই ঐহিত্যবাহী তিস্তা নদী। নদীর কোল ঘেষা অধিকংশ গ্রাম গুলো প্রায় পুরুষ শুন্য।
কর্ম না থাকায় পরিবার প্রধানরা জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে গিয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
নারীরা গবাদী পশু লালন পালন করে সংসারের চাহিদা মেটাচ্ছেন।খুব স্বল্প সংখ্যাক শিশু বিদ্যালয় মুখী হয়েছে।গ্রামীন মেটো পথ গুলোতে যানবাহন চলাচল অনেকটা অনুপযোগী। রিক্সা কিংবা ভ্যানের পরিবর্তে ব্যাবহার হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ী।
মাঘের শৈত্য প্রবাহ কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে আলুর জমিতে কাজ করতে দেখা গেছে অনেক অসহায় পরিবারের নর নারীদের।
গজঘন্টা বাজার এলাকার নাজমা বেগম বলেন হামরা গরীব মানুষ বাহে, হামারে খোজ কেউ নিবার নয়।এত হেল কেউ এনা হামারক একটা কম্বল ও দেয় না।
পথ হাটতেই হঠাৎ চোখে পরলো গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাবিখা প্রকল্পের একটি কাজ। গাছে কাজের সাইনবোর্ড থাকলে ও কাজের কাজ কিছুই হয় নি।এ যেন অশুভংকরের ফাকি।
এই রাস্তায় গাছে বাধানো রয়েছে একটি ঘোড়া, কয়েক গজ এগোতেই চোখে পরলো টিন সেড দুটি ঘর, ঘরে টিনের চাল থাকলে ও চারপাশে রয়েছে ছিদ্র ছিদ্র টিনের বেরা।ভিতরে ঢুকতেই চোখে পরলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধানের গোলা।কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য আগের মত ঘড়ে গোলা ভরা ধান নেই!হাসি নেই কৃষক কৃষানীর মুখে।সবার মুখেই যেন হতাশার ছাপ।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্টীয় ক্ষমতার আসার পর দেশের উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যো রয়েছে পদ্মা সেতু,কর্নফুলি টার্নেল,মেট্রোরেল, ঢাকা – রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করন, সবই বর্তমান সরকারের অবদান। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মাট বাংলাদেশ রুপান্তরিত করার নিরলস চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হলে ও গঙ্গাচড়া উপজেলার মানুষের ভাগ্যের কত টুকু উন্নয়ন হয়েছে সরেজমিন না আসলে তা বোঝা মুশকিল।
রাষ্ট্রীয় কর্নধারদের উচিত মঙ্গা পীরিত গঙ্গাচরার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।