ওবায়দুর রহমান, ভাঙ্গা -ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ফসলি মাঠে পানি নামার বন্ধ থাকায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক শত কৃষক।
চার দিকে যখন ধান ঘন সবুজ হয়ে শীষ বের হচ্ছে ঠিক উল্টো চিত্র ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ছোট পাল্লা গ্রামের ফসলি মাঠে। পানি নিষ্কাশনের খাল ভরাট করে করা হয়েছে একাধিক স্থাপনা তাই চতুর্দিকে ব্লক হবার কারনে ফসলি মাঠের পানি আটকে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অনেকেই হাস্যরসব্যাঙ্গত্মক ভাবে বলছেন ছোট পাল্লার হৃদ। অথচ কয়েক বছর আগেও এই ফসলি মাঠে বছরে তিনটি ফসল উৎপাদণ হতো। এখন সমগ্র বাংলাদেশর কৃষকের ধান চাষ করে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন এখানকার কৃষকদের চোখে বিষাদের ছায়া।
সরজমিনে দেখা যায়, পানির নিচে দুলছে ধান। কোথাও পানির উপরে দুই একটি পাতা কোথায় ধানের কোন চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যায় না। রাস্তার পাশ দিয়ে বহমান নালার মুখ বন্ধ করে কেউ পুকুর করেছেন কেউ বা করেছেন দোকান কারো আবার বাড়ি ও বাড়িতে ঢোকার রাস্তা। তাই তো পানি নিষ্কাশনের বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা ।
এই বিষয়ে দখলকারীদের সঙ্গে কথা বললে একে অপরকে দোষারোপ করছেন। বলছেন সরকার চাইলে তাদের জমি বুঝিয়ে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন শিকদার বলেন, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবার কারনে সামনে রবি শস্য যেমন সরিষা, মুসরি, কালাই ও শীতকালীন সবজি চাষে যে সময় টা এটি চলে যাচ্ছে। অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন তবে ধানের কোন ক্ষতি হবে না।
এই বিষয়ে নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর খাঁন বলেন, আমি সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হলে কৃষকেরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভাঙ্গা থানার ওসি, উপজেলা কৃষি অফিসার ও আমরা গত পরশু আবার পরিদর্শন করে এসেছি। আশা করছি খুব দ্রুত প্রশাসন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় কৃষক হারুন খালাসী বলেন, রাস্তার পাশে খাল ছিল এখান দিয়ে জমির পানি নেমে যেত কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী খালের যায়গা দখল করে ভরাট করায় পানি নামতে পারছে না। আমরা যে ফসল ফসল বুনাবো সেই অবস্থা নেই। এমনকি আশে পাশে যে বাড়ি ঘর আছে পানির জন্য তাদের ও সমস্যা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দ্রুত একটা সমাধান চাই।এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিম উদ্দিন বলেন, আমরা সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তহসিলদার কে খাস জমি চিহ্নিত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। ইতিমধ্যে খাস জমি চিহ্নিত হয়েছে। যাদের স্থাপনা রয়েছে তাদের কে ১দিনে সময় দেওয়া হয়েছে স্থাপনা অপসারণের জন্য। যদি স্থাপনা না সরিয়ে নেয় তাহলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।