মাইনীমুখ, শুভলং, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, পানছড়ি, ফারুয়া, মারিশ্যা ও বরকল,জুড়াছড়ি
বিভিন্ন দুর্গম এলাকা হতে কাপ্তাইয়ের
আনন্দ মেলা গরু হাটে বাড়তে শুরু করেছে পশুর সরবরাহ। পশু বিক্রেতারা হাটে পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এলেও ক্রেতা উপস্থিতি এখনও কম, ফলে জমে ওঠেনি বেচাকেনা। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও এবারে পশুর দাম কিছুটা কম এতে তাদের লোকসান গুনতে হতে পারে বলেও শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নে নতুন বাজার আনন্দ মেলা গরু হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।হাটে গতবারের চেয়ে বেশি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা৷ দেশি রেট চিটাগংচদ জাতের গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে বড় আকারের গরু কম থাকলেও ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি দেখা গেছে হাটে। আকার ও ওজনভেদে এসব গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত।
মোঃ মন্নান নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, অনেকের বাড়িতে জায়গা নেই। তাই তারা কোরবানির ঈদের এক দুইদিন আগে গরু কিনবেন। আর গো খাদ্যের দামও বেশি। তাই হাটে ক্রেতা তেমন আসছে না। আমরা আশা করছি ঈদের দুইদিন আগে থেকে বিক্রি বাড়বে। বেশ কিছু ক্রেতা আসলেও দরদামে না হওয়ায় একটি গরুও বিক্রি হয়নি।
এদিকে খামারিরা জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিটি গরুর পেছনে খাবার বাবদ প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০–৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। তাদের গরু লালনপালনের খরচও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় দাম পাওয়া নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন। ঋণ নিয়ে তারা যে পশুপালন করছেন, সে খরচ উঠবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কাপ্তাই নতুনবাজার হাটের ইজারাদার মোঃ মনির হোসেন বলেন, গরুর আমদানি যেমন কমেছে তেমনি ক্রেতার সংখ্যাও কম। আর হাটে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এবার ক্রেতারা হাটের চেয়ে খামারের গরু কিনতে বেশি আগ্রহী। এরকম হলে আমাদের লোকসান ছাড়া কিছুই হবে না।
কাপ্তাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ এনামুল হক হাজারী বলেন,কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সব রকম সহায়তা দিচ্ছে। কাপ্তাই কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করার জন্য টিম গঠন করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।