সমুদ্রে এক জেলের জালে ধরা পড়লো ৯৬ মন ইলিশ, ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর মহিপুরে মিজান মাঝি (৪৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মন রুপালি ইলিশ। সোমবার দুপুরে এসব মাছ মৎস্য বন্দর মহিপুরের ফয়সাল ফিস নামক মৎস্য আড়দে নিয়ে আসা হয়। পরে এসব মাছ খোলা ডাকের মাধ্যমে ৩৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
৬৫ দিনের অবরোধ শেষে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছিল না। বৈরী আবহাওয়ার কারনে সমুদ্রে যেতে পারছিলো না জেলেরা। আবহাওয়া অনুকুুলে আসলে সমুদ্রে ছুটে যায় মাছ শিকারের উদ্দেশ্য। অন্যান্য ট্রলারের মত তেমন একটা ইলিশ ধরা না পরায় হতাশ হয়ে ৫ দিন পর উপকুলের কাছাকাছি সমুদ্রে জাল ফেলতেই মিজান মাঝির জালে ঝাঁকে ঝাকে ইলিশ ধরা পরে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি।
এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক ও মিজান মাঝি জানান, ট্রলার নিয়ে গত ৫ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কয়েকদিন সাগরে জাল ফেলার পরও তাদের জালে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ মিলছিল না। গতকাল রবিবার পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার কাছাকাছি সমুদ্রে জাল ফেলার পর এক খ্যাওয়ে (একটানে) ধরা পড়ে ৯৬ মন ইলিশ। একবারে এতো ইলিশ পাওয়ায় তারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পরেন।
মিজান মাঝি আরো জানান, এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক তিনি নিজেই। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন। মাছ বিক্রির টাকায় পূর্বের ধার দেনা শোধ করবেন বলে জানান তিনি।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী জানান, নোয়াখালীর মিজান মাঝির জালে এ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলের জালে তেমন বেশি মাছ ধরা পড়ছেনা। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া আসার বাজার খরচও হয়না।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান মাঝিই নয়, আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকল জেলের জালেই ধরা পড়বে কাংখিত ইলিশ।