২৮ শে মার্চ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেড়াও দিবস
মাটি মামুন রংপুর।
২৮ শে মার্চ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেড়াও দিবস ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চের শুরুতে ৩ মার্চ রংপুরে স্কুল ছাত্র শঙ্কু সমাজদারসহ তিনজন বীর সন্তান আবুল কালাম আজাদ ও ওমর আলী অবাঙ্গালী বিহারীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে শহীদ হন।
এই খবরে তাৎক্ষণিক ভাবে রংপুর উত্তপ্ত হয়ে উঠে এবং জনগণ চূড়ান্ত স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করে।বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুযায়ী পাকিস্তানী আর্মির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রংপুরবাসী তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ও ছাত্র-নেতাদের অধীনে নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে।
২৫ মার্চ নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস অভিযান শুরুর তিন দিন পরে ২৮ মার্চ থেকে রংপুরবাসী চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করে।
১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার বাঙালি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট দখলের জন্য ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ে বীর সন্তানের আত্মত্যাগের পর রংপুরের জনগণ, বাঙালি আর্মি অফিসার, ইপিআর সদস্য, ছাত্র, কৃষক শিক্ষক, যুবক, আইনজীবী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মী দেশকে স্বাধীন করার অঙ্গীকার করেন।
এই খবর দ্রুত অন্য সকল এলাকা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নিলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার ছাত্র, যুবক, পুলিশ ও আনসার বাড়ি থেকে পালিয়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়।
পরে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ছাত্র নেতারা স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং রংপুর অঞ্চলে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।