দেবহাটা উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা
আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ
বাল্য বিবাহ বন্ধ করি, শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ি, এই স্লোগানকে সাসনে রেখে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে ও দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রাম এবং সুশীলনের আয়োজনে দেবহাটা ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও জোসনা বালার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মো: শরীফ নেওয়াজ,উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াসুর রহমান, উপজেলা নারী বিষায়ক কর্মকর্তা নাসরিন নাহার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকাত ওসমান ও দেবহাটা উপজেলা ৫ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন কিন্তি অনুষ্ঠান চলা কালে চেয়ারম্যান ও মেম্বার গন অনুষ্ঠানকে পত্যখান করে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন, এই সময় দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রাম, সুশীলনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার বৃন্দ এ সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম ২১ বছর এবং মেয়েদের বয়স ১৮ বছর হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু দারিদ্রতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছিল। তাই সরকারের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রাম, সুশীলনের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ শুরু করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫টি ইউনিয়নে ১১০০৭ টি পরিবারে সার্ভের মাধ্যমে অবিবাহযোগ্য কিশোরী ৩৩২১ জন এবং কিশোর ৪৩৫৮ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গ্রাম পর্যায়ে বাল্যবিবাহের প্রধান কুফল যেমন: নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া। এছাড়াও বাল্যবিবাহের কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যর ঝুঁকি বৃদ্ধির কমাতে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি, শিশু ও যুব ফোরাম, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন এর বাস্তবায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রাম, সুশীলন এর সহযোগীতায় দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৫টি ওয়ার্ডে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠনের মাধ্যেমে এলাকার জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পিতা মাতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি , উঠান বৈঠক, সভা, কর্মশালা, ক্যাম্পেইন, পট গান ও নাটক প্রদর্শন সহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।